NEET Scam: রাত পোহালেই NEET, ‘টাকা তোলার সেট-আপ’, বলে TMC-র বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ BJP-র

NEET Scam in West Bengal: তালিকায় পরিদর্শক হিসাবে যাদের নাম উঠে আসছে তাদের অধিকাংশই কম্পিউটার অপারেটর কিংবা ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কাজ করছেন চুক্তি ভিত্তিক, নেই কোনও স্থায়ী পত্র। এবার তারাই হয়েছেন দেশের অন্যতম মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার পরিদর্শক।

NEET Scam: রাত পোহালেই NEET, টাকা তোলার সেট-আপ, বলে TMC-র বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ BJP-র
Image Credit source: Getty Image

| Edited By: Avra Chattopadhyay

May 03, 2025 | 11:25 PM

মালদা: রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET। কিন্তু এবার ফের সেই আকাশে দেখা মিলছে কারচুপির মেঘের। মালদহের গৌড় কলেজে NEET-এর পরিদর্শক তালিকায় ‘অনিয়ম’-এর অভিযোগ।

ঘটনাটা ঠিক কী?

ঠিক এক বছর আগে এই মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছিল কেলেঙ্কারির অভিযোগ। উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বছর কেটেছে, কাটেনি কেলেঙ্কারির মেঘ। মালদহের গৌড় কলেজে আগামিকাল রয়েছে নিট পরীক্ষা। আর তার আগের রাতেই পরিদর্শকের তালিকা ঘিরে উত্তেজনা।

কী এমন রয়েছে সেই তালিকায়?

তালিকায় পরিদর্শক হিসাবে যাদের নাম উঠে আসছে তাদের অধিকাংশই কম্পিউটার অপারেটর কিংবা ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কাজ করছেন চুক্তি ভিত্তিক, নেই কোনও স্থায়ী পত্র। এবার তারাই হয়েছেন দেশের অন্যতম মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার পরিদর্শক। যা নিট পরীক্ষার নিয়ম বহির্ভূত। এমনকি, আগামিকালের পরীক্ষায় পরিদর্শক হিসাবে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ জন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষককেও। মালদহের অন্যান্য স্কুলগুলি থেকে তুলে আনা হয়েছে আরও ৫ শিক্ষককে। যারা গার্ড দেবেন পরীক্ষা হলের ভিতরে।

পরিদর্শক বাছাইয়ের এই নমুনাকে কোনও ভাবেই মান্যতা দেয় না নিট কর্তৃপক্ষ। শনিবার এই প্রসঙ্গ ধরেই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কেন্দ্রকে বদনাম করতেই মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ও স্বজনপোষণের মাধ্যমে শাসকদল এই চক্রান্ত করছে। অবশ্য, বিরোধীদের এমন অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে ঘাসফুল শিবির।

এদিন মালদহের বিজেপি জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘৯ জন বিজ্ঞান শিক্ষক পরীক্ষা পরিদর্শক রয়েছেন। পাশাপাশি, কিছু ক্যাজুয়াল স্টাফ ও কম্পিউটার অপারেটরও রয়েছে। এই সেট-আপ আসলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার জন্য। জেলা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমরা আইনের পথে যাব।’ পাল্টা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি শুভময় বসুর দাবি, ‘গোটা দায়িত্ব কেন্দ্রের। ওদের উচিত নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার। সুতরাং, তাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা না ঘটে।’

অন্যদিকে, গৌড় কলেজের নিট সুপারিনটেনডেন্ট নিরঞ্জন মৃধার দাবি, ‘আমার কাছে লোক নেই। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকেই আলোচনা হয়েছিল লোকের চাহিদা থাকলে নেওয়া যেতে পারে।’