Malda: ‘কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু নেই… সব পুড়ে গিয়েছে’, বই নেই, খাতা নেই, কেউ সেদিন ইউনিফর্ম ছাড়ার সময়টাও পায়নি

Malda: কেউ কেউ বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকছে, কথাটুকুও বলতে পারছে না। কবে তারা স্কুলে যেতে পারবে জানা নেই। কেউ কেউ স্কুলের ইউনিফর্মের সেই সাদা জামাটাই পরে রয়েছে। অন্য জামাও নেই সঙ্গে।

Malda: কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু নেই... সব পুড়ে গিয়েছে, বই নেই, খাতা নেই, কেউ সেদিন ইউনিফর্ম ছাড়ার সময়টাও পায়নি
শিবিরেই দিন কাটছে শিশুদেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 19, 2025 | 1:44 PM

বৈষ্ণবনগর: সব পুড়ে ছারখার। বাসন-আসবাব বাঁচেনি কিছুই টাকা, গয়না উধাও। মুর্শিদাবাদের সেই অশান্তির ঘটনায় আক্রান্ত শৈশবও। পুড়ে গিয়েছে বই। কী করে পরীক্ষা দেবে ওরা! স্কুলেই বা যাবে কীভাবে। মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় শিবিরে দিন কাটছে ওদের। চোখের সামনে সব পুড়ে যেতে দেখে মন এখনও ভারাক্রান্ত শিশুদের।

সে দিন কেউ স্কুল থেকে সবে বাড়ি ফিরেছেন, কেউ আবার মাঝরাস্তায়। সেখান থেকেই পালাতে হয়েছে তাদের। বই খাতা সবই পুড়ে গিয়েছে। শিবিরে রয়েছে ৪০ জনের বেশি ক্ষুদে পড়ুয়া। বই, খাতা, পেন, পেন্সিল কিছুই নেই। আছে শুধু ভয়াবহ স্মৃতি। চোখ বন্ধ করলেই যেন সব সামনে চলে আসছে।

কেউ কেউ বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকছে, কথাটুকুও বলতে পারছে না। কবে তারা স্কুলে যেতে পারবে জানা নেই। কেউ কেউ স্কুলের ইউনিফর্মের সেই সাদা জামাটাই পরে রয়েছে। অন্য জামাও নেই সঙ্গে। অথচ সকলেই বর্ধিঞ্চু পরিবারের সন্তান।

মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর গ্রামের পারলালপুর হাইস্কুলে এদিক ওদিক খেলা করছে শিশুরা। কিন্তু খেলাতেও মন নেই। কখনও কখনও একা বসে রয়েছে তারা। মায়ের আঁচলে মুখ লুকোচ্ছে। মায়ের সামনে ক্যামেরা ধরলে রাগ করে কেউ বলছেন, ‘কিছু হয়নি আমাদের। কী হবে আবার!’

মায়েরা প্রশ্ন করছেন, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার কী হবে? কবে স্কুলে যেতে পারবে? কবে পড়াশোনা শুরু হবে? এখনও তো ফেরার মতো পরিস্থিতি নেই। সকলেই কবে সুরক্ষিত হবে?