মালদহ: গণনার আগে রাত থেকেই বাড়ছে উত্তাপ। একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। ব্যালট চুরির অভিযোগে মধ্যরাতেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের রতুয়ায়। ব্যালট বাক্স চুরি করেছেন তৃণমূল নেতা। এমনই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভে সামিল হন বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মী-সমর্থকেরাও। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সারারাত ধরেই বিক্ষোভ চলে এলাকায়।
এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ব্লক সভাপতি অজয় সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত তখন প্রায় দেড়টা। তৃণমূল নেতাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় বচসা। পুলিশের দাবি, ব্যালট বাক্স চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি। গ্রামবাসীরা ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলেই দাবি পুলিশের। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ কোনও ক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে রাজনৈতিক চাপান-উতোরের জেরে দুই তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগও ওঠে সেই রতুয়াতেই। বাহারাল অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি শেখ মিনু এবং তৃণমূল নেতা আমির খানকে ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। জোট কর্মী সমর্থকদের দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁদের।
শুধু মালদহ নয়, কোচবিহারেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। সোমবার রাতে দিনহাটায় স্ট্রং রুম নিয়ে বচসা বাঁধে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল-বিজেপি। ঘটনাস্থলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।