
মালদহ: পুজোর আনন্দের মধ্যেই মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলা ও তাঁর ২ সন্তানের দেহ। মনে করা হচ্ছে, সাত বছরের পুত্র এবং ছয় মাসের কন্যাকে শ্বাসরোধ করে মেরে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি গভর্নমেন্ট কলোনির নিচু পাড়ায়।
মৃত মহিলার নাম রূপালি হালদার (২৮)। মৃত নাবালকের নাম অয়ন হালদার। আর মৃত কন্যাশিশুর নাম মিমি। মৃতদেহ তিনটি মালদহ থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, রূপালির বাবারবাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। স্বামী অসিত হালদার ও দুই সন্তানকে নিয়ে কিছুদিন ধরে গঙ্গারামপুরে থাকছিলেন রূপালি। মাত্র তিন-চার মাস আগে মঙ্গলবাড়িতে এসে বসবাস করছিলেন। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত।
গতকাল ষষ্ঠীর রাতেও মৃত গৃহবধুর স্বামী আসিত হালদার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পুজো দেখতে যেতে চাইলে স্ত্রী আপত্তি করেন। এই নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে ওই গৃহবধূ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এবং স্বামী অন্য জায়গায় ঘুমোন। এদিন সকাল দশটা বেজে গেলেও ওই গৃহবধূ ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজনদের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে দেখা যায়, সন্তান দুটির নিথর মৃতদেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে। ওই গৃহবধূ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। ঘটনার খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গৃহবধুর স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়।
রূপালির শ্বশুর তরুণ হালদার বলেন, “ছেলে এবং বউমার রাতে ঝামেলা হয়েছিল আমার নাতিকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু আমার বউমা বাধা দিচ্ছিল। আমার নাতিকে ছেলের সঙ্গে পাঠাবে না সেই নিয়ে ঝামেলা হয়। আজকে সকালে দেখি এই ধরনের ঘটনা।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম মণ্ডল। তিনি এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।