
মালদহ: ৫ দিন ধরে শিশুকন্যার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযোগ পাওয়ার পর স্নিফার ডগ নিয়েও তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফিরে যায় স্নিফার ডগও। আর তারপরই একটি পুকুর থেকে ৫ বছরেরর ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের মোথাবাড়িতে। মৃত শিশুকন্যার নাম ঋষিকা মণ্ডল। গ্রামবাসীদের অনুমান, ঋষিকাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শিশুকন্যাটিকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উত্তর লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের লীলারামটোলা এলাকার বাসিন্দা মনোজ মণ্ডলের মেয়ে ঋষিকা। পেশায় কৃষক মনোজের শিশুকন্যা ঋষিকা গত শুক্রবার জমি থেকে একাই বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন এলাকায় খোঁজ করেন। কিন্তু, পাওয়া যায়নি। এরপর ওইদিনই মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরপর দু’দিন লীলারামটোলা গ্রাম-সহ আশপাশের সমস্ত এলাকায় কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালায়। কিন্তু ছোট্ট ঋষিকার কোনও হদিস মেলেনি।
চারদিন পরও ঋষিকার খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে পরিবার। এই পরিস্থিতিতে ছোট্ট ঋষিকার হদিস পেতে মঙ্গলবার সাতসকালেই লীলারামটোলায় পৌঁছে যায় পুলিশের ডগ স্কোয়াড। স্নিফার ডগ দিয়ে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ এলাকার আনাচে-কানাচে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিখোঁজ শিশুর গ্রাম সহ আশপাশের সমস্ত জমি, বাগান, পুকুর পাড় সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু তল্লাশিতে নিখোঁজ শিশুকন্যার কোনও হদিস না পেয়ে ডগ স্কোয়াড চলে যায়।
আর ডগ স্কোয়াড চলে যাওয়ার আধ ঘণ্টা পরই লীলারামটোলার এক জলাশয়ে ছোট্ট ঋষিকার নিথর দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। যাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে জলে ডুবে মৃত্যু, নাকি খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। গ্রামবাসীদের অনুমান, ছোট শিশুকন্যাকে কেউ বা কারা খুন করেছে। তবে সঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, কীভাবে ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।