
মালদহ: ভিন রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। তবে মর্মান্তিক খবর এল মালদহ থেকে। পঞ্জাবে কাজে গিয়ে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়াতে কার্যত পথে বসতে হল তাঁর গোটা পরিবারকে। জমি-জায়গা বেচে এখন মাথায় হাত মৃতের পরিবারের। সরকারি সাহায্য ভরসা তাঁদের।
মৃত শ্রমিকের নাম ইলিয়াস আলি (৫০)। তিনি মালদহ চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা গ্রামের বাসিন্দা। দু’টো টাকা রোজগারের আশায় পঞ্জাবে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, টাকা বাকি থাকায় দেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছিল না। এবার বিল মেটাতে অসহায় পরিবারকে রাতারাতি শেষ সম্বল ১৭ কাঠা চাষের জমি বন্ধক রাখতে হয়। তারপর সেই টাকায় বিল মিটিয়ে ইলিয়াসের দেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,ইলিয়াস আলির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত। এক মেয়ের সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে।মেয়ের বিয়ের ঋণ মিটাতেই পঞ্জাবে রাইসমিলের কাজে এক সপ্তাহ আগে পাড়ি দেন ইলিয়াস।
মৃতের স্ত্রী হাসিনা বিবি কেঁদে বলেন, স্বামীকে দেখার জন্য শেষ সম্বল টুকুও বন্ধক রাখতে হল।সরকারি সাহায্য না মিললে পথে বসতে হবে। অপরদিকে বিষয়টি জানার পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের বিষয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, “এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করলেই সব হয়ে যায়। সামিরুল সাহেব দেখছেন। সরকার সাহায্য করে।”