মালদা: রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্কুল ড্রেস পরা পড়ুয়ারা। যার জেরে চলাচল করতে পারছে না গাড়ি। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সড়ক। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ারা সদ্য উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়েছে। তারপরই হই-হট্টগোল করছে। কিন্তু কেন অবরোধ? পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল অদ্ভুত কথা। তাদের বক্তব্য পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করতে দেওয়া হয়নি তাদের। তার উপর আবার কড়া গার্ড। যার জেরে ভাল হয়নি পরীক্ষা।
মালদার রতুয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের ঘটনা। শনিবার উচ্চ-মাধ্যমিকের পলিটিক্যাল সায়েন্স পরীক্ষা ছিল। তবে টুকলিতে বাধা পাওয়ায় পরীক্ষা শেষে রতুয়া ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেয় উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছাত্রীরা। ভাদো বিএসবি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা রাস্তায় চিরকুট ফেলে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় রতুয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এ দিন যে বিষয়ে পরীক্ষা ছিল সেই বিষয়টির নাম সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারেনি এক পড়ুয়া। পলিটিক্যাল সায়েন্সকে পলিটিক্স সায়েন্স বলে উচ্চারণ করা ওই পড়ুয়া বলল, “একটা রুমে আটটা গার্ড। প্রথমদিন থেকেই কড়া গার্ড পড়েছে। আমরা টোকাটুকি করতে পারছি না। এমনকী বাথরুম করতে যেতে পারিনি। অন্য স্কুলে হালকা গার্ড আর আমাদের এত কড়া গার্ড?”
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। গতকালও একই ছবি উঠে এসেছিল। মালদার মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ি হাইস্কুলে নকল করতে না দেওয়ায় ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে মারধর করে। এমনকী শিক্ষিকাকেও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় স্কুল। এরপর আর আজ নকল করতে না দেওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রদের বিক্ষোভ রতুয়ায়।