Murder News: মালদহে অন্তঃসত্ত্বা ‘খুনে’ নয়া মোড়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ মৃতার দাদার
Murder News: তিন বছর আগে কাটিহার জেলার আজিম নগর থানার চান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজির আলমের মেয়ে রেশমা খাতুনের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলির ছেলে সুভান আলির। রেশমার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের সময় ওদের দাবি মতো পণ না দিতে পারায় তাঁদের মেয়ের উপর লাগাতার অত্যাচার করা হত।
মালদহ: কেন হবে মেয়ে? সব দোষ বাড়ির গৃহবধূর। অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ায় রাগে দীর্ঘদিন থেকেই ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালাত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এদিকে এরইমধ্যে ফের গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। কিন্তু, ফের কন্যা সন্তানের জন্ম হবে, এমনই আশঙ্কা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই আশঙ্কাতেই ওই গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর শাশুড়ি-সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙরুয়া গ্রামে। পুলিশের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ নিতে গড়িমসির অভিযোগ মৃতার পরিবারের সদস্যদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার দাদা।
এমনকী বাপের বাড়ির সদস্যদের হাত থেকে ওই গৃহবধূর দেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, তিন বছর আগে বিহারের কাটিহার জেলার আজিম নগর থানার চান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজির আলমের মেয়ে রেশমা খাতুনের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলির ছেলে সুভান আলির। রেশমার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের সময় ওদের দাবি মতো পণ না দিতে পারায় তাঁদের মেয়ের উপর লাগাতার অত্যাচার করা হত। এরপর কন্যা সন্তানের জন্মের পর সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়বে। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
রেশমার মা জাকেরা খাতুন বলেন, “আমার মেয়েটা মুখ বুজে সব সহ্য করছিল। এরইমধ্যে ফের ও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু, ও আবার কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে পারে। এই আশঙ্কা ওর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। সে কারণেই ষড়যন্ত্র করে ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করছি।” ইতিমধ্যেই পুলিশ রেশমার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
ঘটনায় আবার শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রেশমার দাদা মহম্মদ মেহবুব আলম। তাঁর দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে শুরুতে তা নিয়ে চায়নি পুলিশ। তিনি বলেন, “আমরা যখন পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যাই সেখানেও সহজে আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। প্রথমে যখন যাই তখন এক পুলিশ কর্মী আমাদের বলে এইভাবে নয়, অন্যভাবে লিখে আনো অভিযোগপত্র। তারপর ওদের কথা শুনে ফের যখন লিখে নিয়ে যাই তখন আর এক পুলিশ কর্মী বলেন এখন আইসি নেই, ২ ঘণ্টা পরে আসুন। থানার অবস্থা এখানে খুব খারাপ। আমরা সুবিচার পাব কি না বুঝতেই পারছি না। শুনেছি এলাকায় ওদের বাড়ির লোকের খুব দাপট। সে কারণে সহজে কেউ সাক্ষ্যও দিতে পারবে না। পুলিশ তো অভিযোগ নেওয়ার পর আমাদের রিসিভ কপি দিতেও গড়িমসি করে। বলে উপর থেকে অনুমতি পেলে তবেই তা দেওয়া সম্ভব হবে। জানি না উপরে কে আছে! এখন তো পশ্চিমবঙ্গ সরকারই ভরসা।”