
মালদহ: তিন নম্বরে চলে যেতে চলেছে লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল আরজেডি। অন্তত প্রবণতা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। রেকর্ড ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট, সৌজন্যে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড জেডিইউ। তবে বিজেপি একক ভাবেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বিহারে। সেক্ষেত্রে বাংলাতেও উজ্জীবিত বিজেপি। চলছে মিষ্টিমুখ, আবির খেলা। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কংগ্রেসের কী বক্তব্য? মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরীর মত, “নীতীশ কুমারের ক্লিন ইমেজ, জেডিইউ ভাল করেছে। তাই দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পেয়েছে।” তাঁর মতে, “নীতীশ কুমারের মতো ইমেজ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।”
ইশার কথায়, “তৃণমূল সংখ্যালঘুদের শুধু ভয় দেখাচ্ছে, তাঁদের বিভ্রান্ত করছে। তাই যদি ওরা আসে বলে পোস্ট করছে। উদ্দেশ্য শুধুই সংখ্যালঘু মানুষদের আতঙ্কগ্রস্ত করা।”
দক্ষিণ মালদহের সাংসদের মতে, অন্য রাজ্যের সঙ্গে এই রাজ্যের সামাজিক, সাংস্কৃতিক অমিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে একই স্ট্র্যাটেজি কাজ করবে না। তবে এই কথার প্রেক্ষিতেরই তাঁর মত, নীতিশ কুমার এবং জেডিওর ভাল কাজের জন্যেই ভোট পেয়েছে। সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে যে কারণেই কংগ্রেসের ভরাডুবি।
ইন্ডিয়া জোটে সদস্য কংগ্রেস। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস বঙ্গে গত লোকসভাতে বামেদের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছিল। ছাব্বিশের নির্বাচনে কংগ্রেসের একাই লড়াই নাকি, বাম-সঙ্গে যাবে, সেটা এখন দেখার। তবে ইশা বোঝালেন, বিহারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে বাংলার প্রেক্ষাপট মেলালে চলবে না।