
মালদহ: হঠাৎ জেলাশাসকের দফতরে উত্তেজনা। সাংসদ খগেন মুর্মু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় একরকম জোর করেই ঢুকে পড়লেন প্রশাসনিক ভবনে মালদহ জেলাশাসকের ঘরে। অভিযোগ, জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল তাঁর ফোন ধরেন না, মেসেজ করলে তার উত্তর দেন না। তাই কোনও রকমে আগাম খবর না দিয়েই নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সোজা জেলাশাসকের দফতরের পৌঁছলেন সাংসদ। জেলাশাসক তখন নিজের কেবিনে। তাঁর ঘরেই ঢুকে পড়লেন খগেন মুর্মু।
ঠিক কী ঘটেছে?
এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও জেলা শাসক উত্তর দেন না। বার বার এই ঘটনা ঘটতে থাকায় রাগে হঠাৎ করে জেলা শাসকের ঘরে ঢুকে পড়লেন সাংসদ খগেন মূর্মূ। সাংসদের বক্তব্য, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সার্টিফিকেট দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন এক বিডিও ও জয়েন্ট বিডিও। গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে তিনি বার বার জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলকে ফোন করেছেন। সাংসদের অভিযোগ, একাধিকবার ফোন করলেও জেলাশাসক ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে ফোনের প্রত্যুত্তরও দেননি।
মঙ্গলবার সাংসদ খগেন মুর্মু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় একরকম জোর করেই ঢুকে পড়েন প্রশাসনিক ভবনে মালদহ জেলাশাসকের ঘরে। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। পরে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। সবটা শোনার পর জেলাশাসক বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “আমরা বাধ্য হয়েছি জেলাশাসকের কাছে আসতে। যখন থেকে উনি জয়েন করেছেন, আমি বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, মেসেজ করেছি, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। কোনও মেসেজ জবাব নেই। ফোন রিসিভ করেন না। সরাসরি এসে দেখা করলাম।” সাংসদের বক্তব্য, “আমরা যে প্রপোজাল দিল, সেটায় অনুমোদন দেন জেলাশাসক। টাকা পড়ে রয়েছে। এলাকার সমস্যা রয়েছে। এসআইআর নিয়ে বেশ কিছু স্পর্শকাতর ইস্যু রয়েছে। ভেবেছিলাম ফোন করে টাইম নেব কথা বলার। কিন্তু ফোন তো ধরেন না।”