
মালদহ: প্রকাশ্য়ে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে কীভাবে খুন করা হয়, সেই ছবি এখনও মানুষের মনে স্পষ্ট। দুলাল সরকারের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যেই এবার প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মালদহে দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। একবার নয়, বারবার তাঁর ফোনে ঢুকছে এসএমএস (SMS)। আসছে ফোন। শুধু কৃষ্ণেন্দুকেই নয়, তাঁর গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, ‘ডি কোম্পানি’র নামে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। কারা এই ‘ডি কোম্পানি’? প্রদীপ নামে কেই বা ফোন করছে? তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে এফআইআর দায়ের করেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ। তাঁর অভিযোগ, গত দুদিন ধরে তাঁর ফোনে এসএমএস ঢুকছিল। প্রথমটায় গুরুত্ব দেননি তিনি। তবে শুক্রবার সকালে হুমকি ফোন আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি এসএমএস যায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ণের কাছে। তিনি মেসেজটি দেখেননি। পরের দিন যায় দ্বিতীয় এসএমএস। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, “ডি কোম্পানি থেকে প্রদীপ বলছি। কাল সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ২০ পেটি পাঠিয়ে দাও। নাহলে তোমাকে আর তোমার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলা হবে।”
আর আজ, শুক্রবার সকালে নিজের তৈরি করা শিব মন্দিরের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। সেই সময়, ফোন যায় তাঁর কাছে। সকাল ১০টা ৪০-এ যা ফোন। সেখানেও বলা হয়, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে।
ফোনে জানতে চাইলে ওপার থেকে বলা হয়, ‘ডি কোম্পানি থেকে বলছি।’ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফও বিষয়টি দেখছে। তবে হুমকি পেলেও ভীত নন। তৃণমূল নেতা বলেন, “১৭ বার গুলি-বোমা খেয়েছি। রাস্তাতেও অ্যাটাক হয়েছে। প্রত্যেকবার পুলিশ তদন্ত করেছে। এবারও করবে।” তবে বিজেপির দাবি, সবটাই তৃণমূলের অন্দরের বিষয়। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “২০ পেটি মানে ২০ লাখ টাকা পাঠাতে বলেছে। ২ নম্বরি টাকা আছে তাই পাঠাতে বলেছে। আসলে এ সবই তৃণমূলের অন্দরের ভাগ বাটোয়ারার টাকা।”