Malda: পতাকার ছবিটা একমনে আঁকছিল ছেলেটা… পুলিশের নজর পড়তেই ফাঁস হল তার পরিচয়

Malda: ওই কিশোর অবাঙালি সেক্ষেত্রে শিক্ষিকার কথা বুঝতে পারছিল না কিশোর।অবশেষে তার হাতে একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল দেওয়া হয়। তখন ওই কিশোর নিজেই গুগল ম্যাপ খুলে তার ঠিকানা বোঝানোর চেষ্টা করে।

Malda: পতাকার ছবিটা একমনে আঁকছিল ছেলেটা... পুলিশের নজর পড়তেই ফাঁস হল তার পরিচয়
মূক ও বধির কিশোরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 05, 2025 | 4:47 PM

মালদহ: নেপাল থেকে দীর্ঘ ৪০০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে মালদহে ঢুকে পড়ল এক মূক ও বধির কিশোর। চাঁচল থানার গৌরহন্ড এলাকায় এসে পড়ে ওই মূক ও বধির কিশোর। কীভাবে ঢুকল উঠছে প্রশ্ন, তবে পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় ওই কিশোরকে দেখতে পায়। কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারে সে মূক ও বধির। তার পরিচয় কী, কোথা থেকে এসেছে সে! জানতে গিয়ে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। অবশেষে মূক ও বধিদের প্রশিক্ষণের জন্য যে শিক্ষক শিক্ষিকারা থাকেন, তেমনি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা সাহানা পারভিনকে নিয়ে আসা হয় চাঁচল থানায়। তিনি চেষ্টা করেন কিশোরের মনের ভাব বুঝে পরিচয় জানার।

ওই কিশোর অবাঙালি সেক্ষেত্রে শিক্ষিকার কথা বুঝতে পারছিল না কিশোর।অবশেষে তার হাতে একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল দেওয়া হয়। তখন ওই কিশোর নিজেই গুগল ম্যাপ খুলে তার ঠিকানা বোঝানোর চেষ্টা করে। তারপর সে একটি পতাকা আঁকে। ওই শিক্ষিকা লোকেশন ও পতাকা দেখে বুঝতে পারেন ওই কিশোর নেপালের। তার দেখানো লোকেশন থেকেই পুলিশ জানতে পারে, সে নেপালের খুট্টা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ বিভিন্ন মাধ্যমে সেই এলাকায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। নেপালের এক সমাজসেবী সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতায় ভিডিয়ো কলে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় ঠিকানা স্পষ্ট হয়। কিশোরের নাম শশী যাদব। মা বিভা দেবী যাদব। অবশেষে নেপাল থেকে কিশোরের মা ও আত্মীয় পরিজনেরা চাঁচল থানায় এসে হাসিমুখে ছেলেকে নিয়ে যান। চাঁচল থানার পুলিশ উপযুক্ত নথি ও পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখে নিয়মানুযায়ী শশী যাদবকে তার মা বিভা দেবী যাদবের হাতে তুলে দেয় চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু। যদিও নেপাল থেকে দীর্ঘ ১০ দিন সাইকেল চালিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এতটা পথ আসার এই ঘটনায় তাজ্জব হচ্ছে সকলেই।