Malda: ওটি রুমের মধ্যে প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজারের অভিযোগ , ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্যোজাত-মায়ের

Malda: ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের মির্জাপুরের বাসিন্দা মিজান শেখ। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর স্ত্রী চব্বিশের ফুলটুসি খাতুনকে মালদহে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁদের ভুল বুঝিয়ে কালিয়াচকের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যায়।

Malda: ওটি রুমের মধ্যে প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজারের অভিযোগ , ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্যোজাত-মায়ের
সদ্যোজাত ও প্রসূতির মৃত্যুImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 16, 2025 | 11:53 AM

মালদহ:  ওটি রুমের মধ্যে প্রসূতির হাত পে বেঁধে সিজার। ছিল না কোনও বিশেষ পরিকাঠামোও। অকথ্য যন্ত্রণায় মৃত্যু প্রসূতির। মালদহের কালিয়াচকের একটি  নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তদন্তে স্বাস্থ্য দফতর। ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসককে। এদিকে এই বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। তাঁকেও  এই খবর ধামা চাপা দেওয়ার কথা বলেন ম্যানেজার। ইতিমধ্যেই মা ও সদ্যোজাতের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে।

ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের মির্জাপুরের বাসিন্দা মিজান শেখ। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর স্ত্রী বছর চব্বিশের ফুলটুসি খাতুনকে মালদহে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁদের ভুল বুঝিয়ে কালিয়াচকের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেদিন রাতেই ফুলটুসি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। রাতে আবার হঠাৎ করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে, দাবি পরিবারের।

ভোর পাঁচটা নাগাদ সদ্যোজাতকে মেডিক্যালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। সেখান থেকে ফিরে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখেন ফুলটুসির মৃত্যু হয়েছে। তখনও তাঁর হাত পা বাঁধা ছিল বলে অভিযোগ স্বামীর। এরপর পরদিন সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতেরও।

প্রসূতির স্বামী বলেন, “রাত ১টার সময় থেকে আমাকে ওরা বলছিল, ছেলেকে নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ভর্তি করাও। আমি তখন যেতে চাইছিলাম না। রাত তিনটের সময়ে নিয়ে গেলাম। ভোর পাঁচটায় ভর্তি হল। সকাল আটটায় এসে দেখি, আমার স্ত্রী শেষ। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দেহ বার করে দিল। কোনও কাগজপত্রও দেয়নি।ওরাই বলছিল, ওদের কাছে নাকি কোনও ওষুধপত্র নেই।”

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে ম্যানেজার ফোনে এই খবর না করার জন্যও চাপ দেন বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।