AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: ১২ দিন, এখনও ছেলের দেহ বরফে চাপা দিয়ে রেখেছেন বাবা, দাবি একটাই! কী?

Malda: ছেলের নিথর দেহ বরফ দিয়ে ঘরে রেখেছেন বাবা। ন্যায় বিচারের দাবি পরিবার সহ গ্রামবাসীদের। ঘটনার ১২ দিন পার হলেও মৃত ছাত্রর দেহ বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ছাত্রের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় ছাত্রের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা।

Malda: ১২ দিন, এখনও ছেলের দেহ বরফে চাপা দিয়ে রেখেছেন বাবা, দাবি একটাই! কী?
বরফে চাপা রেখেছেন দেহ!Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2025 | 4:25 PM
Share

মালদহ: মৃত্যুর ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও দেহ সৎকার না করে, আগলে রেখেছেন বাবা বিচারের দাবিতে। গ্রামের ক্লাব ঘরে দেহ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরাই। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। চলছে গ্রাম জুড়ে বিক্ষোভ, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে। মানিকচকের ভুতনির বেসরকারি স্কুলের হোস্টেলের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু!  ঘটনায় প্রধান শিক্ষক-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। কিন্তু পুলিশ কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি। এই পরিস্থিতিতে নিজের ছেলের দেহ সৎকার করছেন না বাবা। ঘটনা মালদহের ভূতনি থানার হিরানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারটোলা গ্রামের।

ছেলের নিথর দেহ বরফ দিয়ে ঘরে রেখেছেন বাবা। ন্যায় বিচারের দাবি পরিবার সহ গ্রামবাসীদের। ঘটনার ১২ দিন পার হলেও মৃত ছাত্রর দেহ বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ছাত্রের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় ছাত্রের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। আবার ময়নাতদন্ত করার দাবি তুলছেন তাঁরা। অভিযুক্ত ওই বেসরকারি আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ক্লাস শিক্ষককে যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ দেহ থাকবে বরফে সংরক্ষিত অবস্থায়।

গ্রামের বাসিন্দারা দিন রাত এক করে দেহ পাহারা দিচ্ছেন। এদিকে মৃত বিচারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টেরও দারস্থ হয়েছে পরিবার। মৃত ছাত্রের বাবা প্রেম কুমার মন্ডল জানান, হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়ে ইতিমধ্যে মামলাও করা হয়েছে।

চলতি মাসের ২ তারিখ রাতে মানিকচকের রোজমেরি মিশনারী স্কুলের হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শ্রীকান্ত মন্ডল নামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের। রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। বিদ্যালয় অবশ্য আত্মহত্যা করেছে ছাত্র বলেই জানায়। গত ২ তারিখ বুধবার রাতে দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্ত হয়।

শুক্রবার পুলিশের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনের বিরুদ্ধে মৃত ছাত্রের বাবা প্রেম কুমার মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের।

মৃত ছাত্রের বাবা প্রেম কুমার মণ্ডল বলেন, “আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।” মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা কথা বলা হয়েছে সেটাও মানতে নারাজ মৃত ছাত্রের বাবা। প্রায় ১২ দিন হয়ে গেল মৃত ছাত্রের সৎকার্য সম্পূর্ণ হয়নি। পরিবার ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় স্থানীয় ক্লাবের ফ্রিজের মধ্যে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে ছাত্রের মৃতদেহ। গ্রামবাসী ও ছাত্রের মা-বাবার দাবি অবিলম্বে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হোক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোরও দাবি তুলেছে পরিবার।