মালদহ: আন্দোলনে নামলেন গ্রামবাসী। অভিযোগ তুললেন দুর্নীতির। দেখালেন বিক্ষোভ। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল হাসপাতাল সংস্কার ও নতুন ভবন তৈরির কাজ। এই ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই দফায়-দফায় ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মানিকচক ব্লকের নূরপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল এই গ্রামীণ হাসপাতাল। অভিযোগ উঠছিল ঠিকঠাক পরিষেবা পেতেন না গ্রামবাসী। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়কয়ের উদ্যোগে প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছিল এই গ্রামীণ হাসপাতাল সংস্কার এবং নতুন ভবন তৈরির কাজ। এলাকাবাসীর দাবি, নতুন ভবন এবং সংস্কারে যে সমস্ত ইট এবং সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবারে নিম্নমানের। তাছাড়া শিডিউল মেনে কাজ করা হচ্ছে না। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি গ্রামীণ এই হাসপাতাল যাতে ঢেলে সাজানো হয়। কারণ গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মানিকচক যেতে হত। অবশেষে কাজও শুরু হয়। কিন্তু তারা হতাশ। একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অভীক শঙ্কর কুমার জানিয়েছেন এই বিষয়ে তারা লিখিত পাননি। তবে মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসী জুবলু খান বলেন, “ইট খারাপ, বালি খারাপ, রডের মান খারাপ। যে কনডাক্টর রয়েছেন তিনি কোনও নতুন ইট দিয়ে কাজ করছেন না। পুরনো ইট দিয়ে কাজ করছেন। উনি তো কাজ করে চলে যাবে। তারপর আমাদের ভুক্তভোগী হতে হবে। এরপর যদি হাসপাতালের ছাদ ভেঙে পড়ে যায়। দায় কে নেবে? এর আগে তো এমন ঘটনা ঘটেছে। হাত দিলেই তো ইট ভেঙে যাচ্ছে।” অভিযুক্ত সংস্থার মিস্ত্রি বলেন, “ওদের অভিযোগ থাকতেই পারে। ওরা বিক্ষোভ দেখাবে। আমায় যেটা এনে দেওয়া হচ্ছে সেটা দিয়েই কাজ করছি।”