মালদহ: বিয়ে-ডিভোর্স-বিয়ে-মার! আইনত বিয়েকে পরকীয়া দাগিয়ে দিল গোটা গ্রাম। আর তারপর বসানো হল সালিশি সভা। স্বামী-স্ত্রী নাকি পরকীয়া করছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতনে। তিনদিন ধরে চলল হেনস্থা। জুতোর মালা পরিয়ে, চুল কেটে, ঘোরানো হল গোটা গ্রাম। শিউরে ওঠার মতো এমনই ঘটনা ঘটেছে এ রাজ্যের মালদহের কালিয়াচকে।
সেখানকার এক দম্পতি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। আগের পক্ষকে দু’জনই ডিভোর্স দিয়েই বিয়ে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে বিয়ে সারেন তাঁরা। কিন্তু কালিয়াচকের প্রভাবশালীরা মাতব্বররা সেই বিয়ের মান্যতা দেয়নি। অভিযোগ, ১২ জুলাই থেকে চলে অকথ্য নির্যাতন। তারপর দু’জনকে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। পরদিন ১৩ জুলাই চলে ফের নির্যাতন। পরে জুতোর মালা পড়িয়ে, চুল কেটে,মুখে কালি লাগিয়ে গ্রামে হাঁটানো হয়।
উল্লসিত মাতব্বররা সেই সময় আনন্দে বাজি পোড়ায় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। ঘটনায় গ্রেফতার ১১ জন। এ দিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। কয়েকজন আইনজীবী এই ঘটনায় মহিলা কমিশনে যাচ্ছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী বলেন, “নিন্দা করছি। ওদের কঠোরতম শাস্তি চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে খুবই কঠোর। আমরা ওদের ধিক্কার জানাচ্ছি। আর আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করছি।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে এটা হওয়া উচিৎ নয়। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশের উচিত বিষয়টির তদন্ত করা।”