বাংলাদেশি জঙ্গিদের ঢোকাচ্ছে বাংলার ৩ শিক্ষক! বিস্ফোরক তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে
Malda: গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কোনওভাবে বিএসএফ-এর নজর এড়িয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গাছের আড়ালে আড়ালে তাঁরা এগিয়ে যায়। পরে সড়ক পথ ধরে আলদা শহর বা শহর সংলগ্ন এলাকায় তাঁরা পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁদের নির্দিষ্ট আশ্রয়দাতা তাঁদের দিন কয়েকের জন্যে আশ্রয় দেয়।
মালদহ: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তার প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও। আরও তৎপর ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগগুলি। নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফও। এই আবহে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসছে, মালদহের তিন শিক্ষক নাকি যুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে। পাশাপাশি এই তিন জন শিক্ষক নাকি নিয়মিত ভাবে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে আসছেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার তিন জন শিক্ষক। যাঁদের একজনের বাড়ি উত্তর মালদহে। সিমির (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে। এই সকল অনুপ্রবেশকারীরা কোন পথে ঢোকে এ রাজ্যে কীভাবেই বা জাল বিস্তার করছে? টাকা আসছে কোন পথে তারই খোঁজ করল টিভি ৯ বাংলা।
দুর্গম, জঙ্গলের সেই পথ ধরে এগিয়েছে টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরা। ১৭২ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত মালদহে। এর মধ্যে ৩২ কিলোমিটার কাঁটাতার নেই। ১৮ কিলোমিটার নদীপথ। আর এই নদীপথই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। মালদার হবিবপুর এবং ওল্ড মালদার কয়েকটি দুর্গম জঙ্গলাকীর্ণ রাস্তা আছে। সেই পথই ব্যবহার করছে জঙ্গীরা বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
মহানন্দা নদী এখন ক্ষিন। জল খুব কম। তার মধ্যে ডিসেম্বরের শীতে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যপক কুয়াশা পড়ছে। চারদিকে আবছা। এটাই অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সঠিক সময় বলে দাবি গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দাদের অনুমান, অনুপ্রবেশকারীরা কয়েকজন মিলে প্রথমে নদীর ওপারে জড়ো হয়। সেভাবেই প্রস্তুত থাকে তারা। এরপর নদী পেরিয়ে সাঁতার কেটে ঢুকে পড়ে মালদহে। সীমান্ত সংলগ্ন জঙ্গলের পথ পেরোয়। আর এসবই করে ভোর রাতে ঢুকে পড়ে রাজ্যে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কোনওভাবে বিএসএফ-এর নজর এড়িয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গাছের আড়ালে আড়ালে তারা এগিয়ে যায়। পরে সড়ক পথ ধরে আলদা শহর বা শহর সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে যায় অনুপ্রবেশকারীরা। সেখানে তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয়দাতা দিন কয়েকের জন্যে আশ্রয় দেয়।