মালদহ: শরীর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে মাথা। হাত দু’টি ভাঁজ করে রাখা বুকের উপরে। আর কাটা মুণ্ড পড়ে রয়েছে কিছুটা দূরে। মালদহে এই হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের পিছনে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যখন পুলিশ খুনের মোটিভ খুঁজতে ব্য়স্ত। সেই সময় দাঁড়িয়ে পরিবার বলছে, কালীপুজোর রাতে নরবলি দেওয়া হয়েছে ওই ব্য়ক্তিকে। কিন্তু কেন? কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা হলেন সৌম্যজিৎ সরকার (২২), ফারুক (২৮), আশীস চৌধুরী (১৯)। ধৃত তিনজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মাথা কাটা ব্যক্তির নাম পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম কৃষ্ণপদ রায়। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেলবাড়ি এলাকার অধিকারী পাড়া এলাকায়।
মৃতের পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। গত বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বাড়ি থেকে। সংবাদ মাধ্যমে খবর দেখার পর পরিবারের লোকেরা ছুটে যান গাজোল থানায়। মৃতদেহ পাওয়ার জন্য থানায় লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি এটা খুনের ঘটনা। নরবলি। পাঁঠা বলি দেওয়ার মতো করে কাটা হয়েছে তাঁকে। তবে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে এভাবে খুন কেন করা হল তা এখনো স্পষ্ট করেনি পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পূর্ণতদন্তের আগে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।