Malda: ‘তোর গলা কাটব…’, মাকে মেরে রাস্তায় বসাল ছেলে
Malda: স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,নিয়মিত মারধর অত্যাচার করেছেন ছেলে মায়ের উপর। এখন বাড়ির দখল নিয়েছে মাকে তাড়িয়ে। অথচ সেই বাড়ি তাঁর মায়ের নামেই। এমনকী, তাঁর মায়ের নামেই আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হয়েছে বাড়ি।
মালদহ: সাতদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে। তারপর বর্ষাকাল। লাগাতার গাছ তলায় ঝড় জলের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন প্রৌঢ়া। নিজের ঘরে ঢুকতে পারছেন না। কারণ, তাঁকে পিটিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে ঘর থেকে নাকি তাড়িয়েছে ছেলে। এলাকাবাসী দয়া করে কেউ খেতে দিলে খাওয়ার জুটছে। নয়ত নয়। মারধরের ক্ষত এতটাই যে প্রথমে আহত হয়ে পড়েছিলেন। স্থানীয়দের চেষ্টায় সুস্থ হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন থানায়। অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলরের কাছেও। তবে এখনো পর্যন্ত গাছের নিচেই রয়েছেন প্রৌঢ়া।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুলদীপ মিশ্র কলোনির। সেখানেই বাস করতেন গঙ্গা হরিজন নামের ওই প্রৌঢ়া। মহিলার অভিযোগ,দিনের পর দিন তাঁর ওপর অত্যাচার চালায় তাঁর পুত্র মোহন হরিজন। তাঁর হাত ভেঙেছে,মাথা ফাটিয়েছে। সোনার গয়না টাকা কেড়ে নিয়েছে। এখন বাড়ির দলিল হাতাতে চাইছে। অসহায় মহিলার আরও এক সন্তান রয়েছে কিন্তু সে অন্যত্র থাকে সে আবার অসুস্থ। ফলে গঙ্গাদেবী এখন গাছ তলাতেই রয়েছেন। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,নিয়মিত মারধর অত্যাচার করেছেন ছেলে মায়ের উপর। এখন বাড়ির দখল নিয়েছে মাকে তাড়িয়ে। অথচ সেই বাড়ি তাঁর মায়ের নামেই। এমনকী, তাঁর মায়ের নামেই আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হয়েছে বাড়ি। সেই ছেলে সর্বদা দলবল নিয়ে থাকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিলে তাঁদেরকেও হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি। শুধু তাই নয়,তাঁদের এও অভিযোগ পিছনে প্রভাবশালী কেউ মদত দিচ্ছে।
অন্যদিকে, সেই বাড়িতে গেলে ছেলে মোহনকে ঘরে পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন করা হলে সে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার কথা স্বীকার করে এলাজার তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানান,”আমি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।পুলিশের সঙ্গেও কথা বলব যাতে মহিলাকে ঘরে ফেরানো যায়।” তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি ‘সুপুত্’র মোহন হরিজন। এ প্রসঙ্গে গঙ্গাদেবী বলেন, “তোমার কত অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে আমায় দাও। নয়ত তোর গলা কেটে দেব। জেলে থাকব। তারপর ফের ফিরে আসব।”