Malda: কার্নিভালে অংশ নিতে চাইছে না তৃণমূল প্রভাবিতই অধিকাংশ পুজো কমিটি, কিন্তু কেন?

Malda: বেশি বিতর্ক শুরু হবে এই ভয়ে বহু ক্লাব আগেই নিজেদের প্রতিমা বিসর্জন করে দিচ্ছে। শাসক দল ও প্রশাসনের চাপে কিছু ক্লাব নিজেরা নিজেদের মতো করে প্রতিমা নিরঞ্জন করে দিয়ে পরে মডেল স্বরুপ ছোটো প্রতিমা বানিয়ে বা নিতান্তই ছোটো কোনও পাড়ার প্রতিমাকে নিজেদের প্রতিমা বলে কার্নিভালে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

Malda: কার্নিভালে অংশ নিতে চাইছে না তৃণমূল প্রভাবিতই অধিকাংশ পুজো কমিটি, কিন্তু কেন?
মালদহে কার্নিভালে অংশ নিতে অনিচ্ছুক পুজো কমিটিগুলোর একাংশImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 03, 2025 | 11:58 PM

মালদহ: বিতর্কের মাঝে কার্নিভালে বলির পাঁঠা পুজো কমিটি গুলি। কার্নিভাল নিয়ে চরম বিতর্ক মালদহে। কোনও ক্লাব বা পুজো কমিটি চাইছে না কার্নিভালে অংশ নিতে। যার মধ্যে অনেক তৃণমূল প্রভাবিত ক্লাব বা কমিটিই বেশি। এমনকি জেলার তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু যে ক্লাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত সেই ক্লাবের প্রতিমাও বিসর্জন করে দেওয়া হচ্ছে TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনেই।

বেশি বিতর্ক শুরু হবে এই ভয়ে বহু ক্লাব আগেই নিজেদের প্রতিমা বিসর্জন করে দিচ্ছে। শাসক দল ও প্রশাসনের চাপে কিছু ক্লাব নিজেরা নিজেদের মতো করে প্রতিমা নিরঞ্জন করে দিয়ে পরে মডেল স্বরুপ ছোটো প্রতিমা বানিয়ে বা নিতান্তই ছোটো কোনও পাড়ার প্রতিমাকে নিজেদের প্রতিমা বলে কার্নিভালে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর এই কার্নিভাল নিয়ে এবার সরব বিরোধী দল শুধু নয়, সরব হয়েছে পুজো কমিটি গুলির ফোরাম।

বহু পুজো উদ্যোক্তাও মুখ খুলছেন। অভিযোগ, এই কার্নিভাল আসলে তৃণমূলের অনুষ্ঠান। যেখানে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠান, ব্যস্ততা। এছাড়াও অব্যবস্থা। এসবের মধ্যে কার্নিভালে যোগ দিতে যাওয়া বহু পুজো কমিটির সদস্যরাই ক্ষুব্ধ। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে বয়স্ক মানুষরাও বিরক্ত। এই কারণে বহু ক্লাব অঅংশ নিচ্ছে না। এছাড়া বাড়তি ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা খরচ।

কোথা থেকে আসবে এত টাকা ক্লাব গুলোর কাছে?

মালদহ শহরেই অনুমোদিত ২০১ টা পুজো। এছাড়াও জেলা জুড়ে অসংখ্য পুজো।হাজার হাজার। কিন্তু জেলার কার্নিভালে এবার মাত্র ২৩ টা ক্লাবের থাকার কথা কিন্তু তাও যে থাকবে না ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট। মেরেকেটে ১৭ টা ক্লাবের অংশ গ্রহণের সম্ভাবনা। তার মধ্যে আবার কিছু ক্লাব নিজেদের প্রতিমা আগেই আজ বিসর্জন করে দিয়েছে।

অন্যদিকে এই নিয়ে বিজেপি সরব। কারণ বিজেপির জন প্রতিনিধিদের কার্নিভালের ডাকা হয় না, এমনকি সাংসদকে পর্যন্ত ডাকা হয় না বলে অভিযোগ। আর এই সব নিয়েই শুরু হয়েছে তির রাজনৈতিক বিতর্ক।

দুর্গাপুজো ফোরামের সম্পাদক শুভ্রজ্যোতি দত্ত বলেন, “২৩ টা ক্লাব কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে। যে ক্লাব আগে আসবে, সেই মোতাবেক তালিকা সাজানো হবে। যারা বিগ বাজেটের পুজো করে, তারাই কার্নিভালে অংশ নেয়। কারণ তাতেও খরচার ব্যাপার রয়েছে। কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো খরচ রয়েছে। বিষয়টা খরচাসাপেক্ষ। তাই অনেকেই অংশ নিতে পারে না। তারপর দেখি কার্নিভাল শেষ করতে করতেই মধ্যরাত হয়ে যায়। সেটাও একটা ব্যাপার রয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে মালদহ সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এখন তো দেখি পিতৃপক্ষে পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে। সেটা কখনও হয়! এখন পুজো নিয়েও রাজনীতি হয়। কার্নিভালে তো লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ আছে, তাই অনেকে এড়িয়ে যাচ্ছে। অনুদান যে পুজো কমিটি নিচ্ছে, তারা তো কেনা গুলাম হয়ে যাচ্ছে। তাই যেতে অনেকক্ষেত্রে বাধ্য থাকছে, তারাই বলির পাঁঠা হয়ে যাচ্ছে।”