
মালদহ: সদ্যোজাতর মৃত্যু নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। মৃত সদ্যোজাতের দেহ পিচবোর্ডের বাক্সে ভরে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখায় পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগরের বাসিন্দা রেশমা খাতুন। ১৬ তারিখ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি, রেশমার প্রসব হওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়নি। তারপর রাতে রেফার করা হয়। পরিবারের লোকেরা প্রসূতিকে নিয়ে চাঁচল সদর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সিজার হওয়ার পর মৃত শিশু প্রসব হয়।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালেই গর্ভে ওই সদ্যজাতের মৃত্যু হয়ে ছিল। তারপরেই পরিবারের লোকেরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে মৃত সদ্যোজাতের দেহ বাক্সে ভরে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অভিযোগকারী শেখ আলির বক্তব্য, “রোগীর বাড়ির লোক আগেই বলেছিল, এখান থেকে রেফার করে দিতে। কিন্তু ডাক্তার পাল্টা ওঁদের বলছিলেন, আমি ডাক্তার না তুমি ডাক্তার। কিন্তু বাচ্চাটা যখন পেটে মরে গেল, তখন রেফার করল!”
যদিও গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক শুভেন্দু ভক্ত বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতি হয়েছে, এটা তদন্ত না করে বলা উচিত। তবে আমি যেটুকু রেকর্ড দেখলাম, এখানে থাকতে বাচ্চাটা পেটে মারা যায়নি। ওরা কোনও নার্সিংহোমে যায়, সেখান থেকে একথা বলছে। তবে তদন্ত করা হবে।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপি কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, “বাংলায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রের অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তার দেখাতে পারছেন না সঠিকভাবে, ওষুধ পাচ্ছেন না। গ্রামগঞ্জের অবস্থা তো আরও খারাপ।”