
মালদহ: খাটিয়া করে নিয়ে যাওয়া রোগীর মৃত্যু। এর আগে খাটিয়া করে নিয়ে যাওয়ার সেই ছবি ভাইরাল হয়। যা নিয়ে টিভি৯ বাংলা খবর করতেই বিতর্ক শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে মৃত্যু হল সেই রোগীর। যা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুরের শ্রীরামপুর এলাকায়। বেহাল রাস্তার কারণে এক রোগীকে খাটিয়া করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রোগীর মৃত্যু হল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মৃতের নাম রানি সোরেন (৭১)। তিনি মালদহের হবিতপুর থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঞ্জিতপুর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার রাস্তা বেহাল। বর্ষার সময় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয় সেখানে। কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
রানি সরেন নামের ওই বৃদ্ধা অসুস্থ হলে কয়েকদিন আগে তাকে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। আবার সেখান থেকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই খবর সম্প্রচার হওয়ার পরই আবার সেই একইভাবে খাটিয়া করে তাঁকে সেই বেহাল রাস্তা ধরে নিয়ে গিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খাটিয়া ঘাড়ে নিয়ে যান মালদা জেলা পরিষদের সেই এলাকার বিজেপি সদস্য। মালদা মেডিক্যালে মৃত্যু হয় রানি সোরেনের। পরিবারের একটাই অভিযোগ, যদি রাস্তা ঠিক থাকতো তাহলে এই মানুষটিকে এভাবে মরতে হত না। সেই সঠিক সময় চিকিৎসা পেত।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশীস কুণ্ডু বলেন, “রানি সোরেনের মৃত্যুতে দুঃখিত। চিকিৎসা হওয়ার পরও তিনি মারা গিয়েছেন। তার সঙ্গে বিধায়ক যে নাটক করছেন সেটার তীব্র নিন্দা করছি। এই পঞ্চায়েত বিজেপির, সাংসদ বিজেপির। সবাই কি ঘুমোচ্ছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় হাজার-হাজার রাস্তা তৈরি করেছে। আর কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে।” মৃতের বৌমা বলেন, “শাশুড়ির ডায়ারিয়া হয়েছিল। আজ মারা গিয়েছে। রাস্তার অবস্থা খারাপের জন্য খাটিয়াতে করে তাঁকে এনেছিলাম। রাস্তা ভাল থাকলে সময় মতো আনতাম, চিকিৎসা হতো। মারা যেত না।”