
মালদহ: বাবাকে খুন। মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত। মৃতদেহ সৎকার করতে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে মৃতদেহ সহ গাড়ি আটক পুলিশের। আটক পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোলের শালাইডাঙা অঞ্চলের ইদাম এলাকায়।
মৃত ব্যক্তির নাম গণেশ মণ্ডল (৫৬)। বাড়ি মালদহের গাজোল ব্লকের সালাইডাঙা অঞ্চলের ইদাম এলাকায়। এলাকাবাসী বিশ্বনাথ সরকার ও মৃতের আত্মীয় জনার্দন সরকাররা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাতটা নাগাদ গণেশ মণ্ডলের ছেলে অজয় মণ্ডল মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে গণ্ডগোল শুরু করে। অভিযোগ, গণেশ বাবাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেন। লাঠি দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেন তিনি। সেই সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান প্রৌঢ়। শুক্রবার দশটা নাগাদ তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ছেলে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। এই খবর পেয়ে এলাকাবাসী বিষয়টি গাজোল থানায় পৌঁছন। সেখানে গাজোল থানার পুলিশ বামনগোলা মোড় সরকারপাড়া এলাকায় ওই মৃতদেহের গাড়িটি আটক করে। মৃতদেহ সহ গাড়িটি গাজোল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাজোল থানার পুলিশ খতিয়ে দেখে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসীরা বলেন, অজয় মণ্ডল সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় বাবা মাকে নির্যাতন করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাবাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেন। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তারপর নিজেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বাবাকে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় তাঁর।
গণেশের মণ্ডলের এর স্ত্রী ভাদুরি মণ্ডল বলেন, “ছেলে মদ খেয়ে এসে ওঁর বাবাকে ব্যাপকভাবে মারধর করে। বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তখনই আমার স্বামী অজ্ঞান হয়ে যান। আমরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছই। তখনই মৃত্যু হয়।” এ দিকে, এই ঘটনার পর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার সময় গাজোল ব্রাহ্মণগোলা মোড় নয়াপাড়া এলাকায় মৃতদেহের গাড়িতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।