Malda: প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফাঁস! বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল

Malda: সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন করানোরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সামনে এসেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ।  ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।

Malda: প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফাঁস! বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল
অভিযুক্ত অধ্যাপক Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 19, 2025 | 2:19 PM

মালদহ: তিনিই প্রশ্ন পত্র তৈরি করছেন, তিনিই ফাঁস করছেন। আর সেটি করেছেন মোটা টাকার বিনিময়ে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ মালদহের পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল।

সামনে এসেছে একটি ভিডিয়ো। জানা গিয়েছে, সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ঘরের মেঝেতে বসিয়ে টিউশন পড়াচ্ছেন। তখনই কয়েকজন ঘরে ঢুকে যান। তাঁরা বলতে থাকেন, কীভাবে তিনি কলেজে না গিয়ে টিউশন পড়াতে পারেন? কীভাবে ১৫ হাজার টাকায় আবার নোটসও বিক্রি করতে পারেন? উত্তর দিতে দেখা যায়নি ওই অধ্যাপককে। যদিও TV9 বাংলা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেননি।

জানা গিয়েছে, এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা অভিযুক্ত অধ্যাপকের ঘরে ঢুকে ভিডিয়ো করেছেন। অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম পরেশ নাথ দাস। তিনি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাকুয়া হাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি। তখনও তাঁর বিরুদ্ধে কলেজে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ ওঠে।

সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন করানোরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সামনে এসেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ।  ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।

পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অমৃতা মিদ্দে বলেন, “অভিযোগ এসেছে। টিউশন করানোর বিষয়টা আলোচনাসাপেক্ষ। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হবে। তবে ভিডিয়োতে যাঁকে দেখা গিয়েছেন, উনি আমাদের সিনিয়র মোস্ট প্রফেসর। গর্ভনিং বডিতে জানাব। কলেজের সমস্ত অধ্যাপকরাই পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। উনিও পেয়েছিলেন। প্রশ্ন তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। উত্তরপত্রও দেখার কথা ছিল।”

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাপি মিশ্র বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছি। ডিনের দায়িত্বও পালন করেছি। গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রশ্নপত্র তৈরি। অধ্যাপক যদি প্রশ্ন তৈরি করেন, তাঁর নৈতিক দায়িত্ব, এটা পাবলিক করতে পারেন না। ”

অভিযুক্ত অধ্যাপক পরেশনাথ দাস TV9 বাংলাকে ফোনে জানিয়েছেন, “এই ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাইনি। সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এটা কখনও হতে পারে না। প্রমাণ হয়ে যাবে, এটা সর্বৈবভাবে মিথ্যা।”