Malda: কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে রোহিঙ্গাদের আধার কার্ড? বড় চক্র ফাঁস

Malda: উত্তর রামপুর এলাকায় এরা একটি সিএসপি এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। কিন্তু তার আড়ালে চলত জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। দীর্ঘদিন ধরে ওঁত পেতে ছিল পুলিশ।

Malda: কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে রোহিঙ্গাদের আধার কার্ড? বড় চক্র ফাঁস
জাল আধার কার্ড চক্র ফাঁসImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 12, 2025 | 4:20 PM

মালদহ: কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে জাল আধার কার্ড চক্র। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা এসে জাল আধার কার্ড বানাচ্ছে অভিযোগ তুলছে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদ ও মহম্মদ আজম ওরফে নবাব।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে চাঁচল থানার সতী এলাকা থেকে মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদকে গ্রেফতার করে চাঁচল থানার পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই জাল আধার কার্ড চক্রের অন্যতম মূল মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আজমকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার উত্তর রামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর রামপুর এলাকায় এরা একটি সিএসপি এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। কিন্তু তার আড়ালে চলত জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। দীর্ঘদিন ধরে ওঁত পেতে ছিল পুলিশ। তারপর সূত্র মারফত খবর পেতেই জালে আসে এই দুই ব্যক্তি। মালদহ জেলার একদিকে বিহার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। আবার আরেকটা বড় অংশ জুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত। যেখানে নদীপথে অনেকটাই অংশ অরক্ষিত। থাকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা।

ধৃত মহম্মদ আজম ওরফে নবাবের ভাইয়ের বক্তব্য, “দাদা ওই কাজ করত না। আমাদের বাড়িতে জাহাঙ্গির নামে একটা ছেলে ভাড়া থাকত। সুতিতে কাজ করত। দাদা তো কম্পিউটার সায়েন্সের ক্লাস করাতো। জাহাঙ্গিরকে না পেয়ে দাদাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ”

প্রশ্ন উঠছে, তবে ধৃতদের কাছে কারা জাল আধার তৈরি করেছেন। কী উদ্দেশ্যে করেছেন। বিজেপির অভিযোগ, বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে জাল আধার কার্ড তৈরি করে ঘাঁটি গাড়ছে। এতে মদত রয়েছে তৃণমূলের। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি রাজ্য পুলিশ সক্রিয় বলে ধরা পড়ছে। অনুপ্রবেশ হলে সেটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

জেলা বিজেপি সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেন, “আধার কার্ড কেন, সবই তো জাল হচ্ছে এখানে। রেশনকার্ড, শংসাপত্র, সবই তো জাল হচ্ছে। বাংলায় এখন আধার কার্ড জাল তো সামান্য ব্যাপার। এভাবেই তো জাল আধার কার্ড বানিয়ে রোহিঙ্গারা ভারতীয় হয়েছে। এখানে এসে থাকছে।”

আইএনটিটিইউসি-র ব্লক সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। এখানেই তো বোঝা যাচ্ছে, আমাদের রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। রোহিঙ্গা যদি ভারতে ঢোকে, তাহলে দায় কার? দায় তো কেন্দ্রীয় সরকারের।”