
মালদহ: সরকারি বিএড কলেজের মাঠ দখল। মাঠ দখলের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মালদহ বিএড কলেজের প্রায় ৪ একর মাঠ দখলের চেষ্টা। ইতিমধ্যেই ইটের পাঁচিল এবং লোহার ব্যারিকেড দিয়ে রাতারাতি মাঠের বেশ কিছুটা অংশ দখল। মালদহ গভর্মেন্ট টিচার ট্রেনিং কলেজের অফিস ইনচার্জ কার্তিক চন্দ্র সরকারের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর নিজের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি সম্পত্তি তথা কলেজের মাঠ দখল করে নিয়েছে। এই নিয়ে এলাকার কাউন্সিলের সঙ্গে কথাও বলা হয়। এই নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই সরকারি বিএড কলেজের প্রায় চার একর জায়গা রয়েছে ইংরেজ বাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লি এলাকায়। সেই জায়গারই বেশ কিছুটা অংশ রাতারাতি দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মনীষা সাহা-সহ তাঁর অনুগামী স্থানীয় কিছু বাসিন্দার বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলের সাফাই, কোন জায়গা দখল করা হচ্ছে না। বাচ্চারা যাতে খেলতে পারে তার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, “খেলার জায়গাও এভাবে নেওয়া যায় না। বিএড কলেজের হোস্টেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভবন তৈরির কথা রয়েছে।” অন্যদিকে, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও বলেন, “ওই জায়গাটি নোংরা আবর্জনায় ভরেছিল। ওই খানকার ছোট ছোট ছেলেরা পরিস্কার করে খেলার উপযোগী করে তুলেছে। জায়গাটি দখল করার কোন ব্যাপার নেই।”
তবে এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেখানে কড়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সরকারি জায়গা দখল করা যাবে না। সেখানে তার দলেরই কাউন্সিলর জায়গা দখল করছে।”
সরকারি জমির জবর দখল নিয়ে জানুয়ারি মাসেই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই তারই দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরকারি কলেজের মাঠ দখলের অভিযোগ উঠল।