মালদহ: মালদহর তৃণমূল কর্মী হাসা শেখের খুনের ঘটনায় হাড়হিম ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভরা রাস্তায় দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে আধলা ইট দিয়ে ক্রমাগত মারা হচ্ছে তাঁর মাথায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে-করতে ক্রমশ নিঃস্তেজ হয়ে পড়ছেন তিনি। এই ভিডিয়ো দেখতেই শিউরে উঠছেন সকলে। কীভাবে সম্ভব এই ঘটনা? প্রশ্ন উঠছে।
এর আগে মালদহে দুলাল সরকার খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ১২ দিনের মাথায় খুন আরও এক তৃণমূল কর্মী। দুলাল সরকারের মৃত্যু পর ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে পরিস্থিতি যে একটুও বদলায়নি তা আবারও প্রমাণিত হল। শুধু তাই নয়, যে বা যাঁরা এই ঘটনা ঘটাল তাঁরা রাজনৈতিক কর্মী। বকলমে প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী। আর এই খুনের ঘটনা যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেখানকার (সুজাপুর) বিধায়ক আব্দুল গনি। বলেছেন, “ওখানে একটা গোষ্ঠী চলছে। এর পাশাপাশি ওখানে পঞ্চায়েত সমিতির নেতা মারা গিয়েছেন। বকুল অঞ্চলের নেতা। খুব ইনফ্লুয়েন্স। জাকিরের সাথে ওনার সমস্যা ছিল। আসল মাথা সেরিউল শেখ।” এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, “এসপির ভূমিকা আমার পছন্দ নয়। আমার এসপির অপরাধী দমনের ভূমিকা খুব কম। পুলিশ অনেক কিছু জানে। পুলিশ কি অ্যকশন নেয়? অনেক সময় এফ আই আর নিতে চায় না।”
সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তিন তৃণমূল নেতা (এসারুদ্দিন শেখ,হাসা শেখ,বকুল শেখ) যাচ্ছিলেন। সেই সময় মাথায় টুপি, গায়ে কালো সোয়েটার পরে এসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি ছোড়া হয়। তিন জন লুটিয়ে পড়লে ক্রমাগত ইট দিয়ে মারা হয় তাদের। পরে মৃত্যু হয় হাসার।