Maldah: মালদহে তৃণমূল কর্মীর ‘খুনি’ কালিয়াচকের ত্রাস জাকির! কে এই জাকির শেখ? কার হাত তাঁর মাথায়?

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 15, 2025 | 3:35 PM

Maldah: এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ১০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেন। জাকিরের বিরুদ্ধে আগে থেকেই এক গুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে।

Maldah: মালদহে তৃণমূল কর্মীর খুনি কালিয়াচকের ত্রাস জাকির! কে এই জাকির শেখ? কার হাত তাঁর মাথায়?
কে এই জাকির শেখ?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: মালদহে তৃণমূল কর্মীকে ইট দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন! সামনে এসেছে খুন করার মুহূর্তের শিউরে ওঠার মতো ছবি। তাতে চিহ্নিতও করা গিয়েছে বেশ কয়েকজনকে। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে একদিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ১০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেন। জাকিরের বিরুদ্ধে আগে থেকেই এক গুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে আগেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। TV9 বাংলার হাতে এসেছে সেই ভিডিয়ো। কিন্তু তারপরও কেন জাকিরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

হুমকি দেওয়ার সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, “তোকে প্রেসিডেন্ট করে পাপ করেছি। এর হিসাব তোকে দিতে হবে।” এই ভিডিয়ো আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তারপরও কেন সতর্ক হয়নি পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঠিক কিছুদিন আগে তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন, বাবলু ও কৃষ্ণা রজককে খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। বাবলুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বুধবারই কালিয়াচক থানায় দুই সন্তানকে নিয়ে যান নিহত তৃণমূল কর্মী হাসা শেখের স্ত্রী। কেন জাকির এখনও গ্রেফতার হল না, সে উত্তরই জানতে এসেছেন তিনি। হাসার শেখ বলেন, “জাকিররা ডেকেছিল। তারপর ফিরে বাড়িও এসেছিল। আবার ডেকে নিয়ে যায়। তারপর পিছন থেকে গুলি করে রড দিয়ে মেরেছে। ড্রেন নিয়ে গোলমাল। টাকা নিয়ে ভাগাভাগি কিনা, জানি না।”

জাকির শেখ আসলে কে?

জানা যাচ্ছে, জাকির শেখ এক সময়ে কংগ্রেস করতেন। তারপর এলাকার ব্লক সভাপতি সরিউল শেখের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দেন। ধীরে ধীরে তাঁর এলাকায় পতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্ষমতায়ন নিয়েই ব্লক সভাপতি সরিউল শেখের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের বিবাদ ছিল। এদিকে, হাসা বকুলের হয়ে কাজ করতেন। গ্রামে যে কোনও নির্মাণে ক্ষমতায়ন নিয়ে দুপক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। যার চরম পরিণতি দেখা গেল মঙ্গলবার।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন খোদ তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “দল বড় হয়েছে, তাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়। অপরাধ যেই করে থাকুক না কেন, শাস্তি পাবেই।”

Next Article