Migrant Woker Death: চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে ডায়ারিয়া আক্রান্ত, মৃত্যু মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের
Migrant Woker Death: মৃতের স্ত্রী শামিমা বিবির দাবি, হারানু সকাল ৮টা নাগাদ কাজে যোগ দিলেও দু'ঘণ্টা পর থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপর বাড়ি চলে আসেন। শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় সহকর্মীরা খবর দেন তাঁর ছেলেকে। হায়দরাবাদ থেকে ওই ব্যক্তির ছেলে চেন্নাই পৌঁছন। ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন হারানু।

মালদহ: মালদহ জেলাজুড়ে শ্রমিকের মৃত্যু অব্যাহত। ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আবার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। মৃতের নাম হারানু শেখ (৫৩)। তাঁর বাড়ি মোথাবাড়ি থানার অন্তর্গত ধরমপুর এলাকায়। চেন্নাইতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। পরিবার সূত্রে খবর, সাহাদুর নামের স্থানীয় এক ঠিকাদারের সঙ্গে গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাজে গিয়েছিলেন হারানু। সোমবার চেন্নাই পোঁছন তাঁরা। মঙ্গলবার গেটপাস করা হয়। এরপর বুধবার কাজে যোগদান করেন ওই প্রৌঢ়।
মৃতের স্ত্রী শামিমা বিবির দাবি, হারানু সকাল ৮টা নাগাদ কাজে যোগ দিলেও দু’ঘণ্টা পর থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপর বাড়ি চলে আসেন। শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় সহকর্মীরা খবর দেন তাঁর ছেলেকে। হায়দরাবাদ থেকে ওই ব্যক্তির ছেলে চেন্নাই পৌঁছন। ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন হারানু।
শামিমা বলেন, “ছেলে ফোন করে বলল বাবা আর নেই। ডায়ারিয়া হয়েছিল বাবার। ওফ বাবাও একবার ফোন করেছিল। কিন্তু কথা বলতেই পারছিল না।” এ দিকে, এই ঘটনার পর ওই ঠিকাদারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ঠিকাদাররা প্রচুর টাকা রোজগার করছে। অথচ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাঁদের স্বাস্থ্যের কোনও খোঁজ খবর রাখেন না তাঁরা। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারও মালদহের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর আসে। গুজরাটে কাজে গিয়ে উঁচু টাওয়ার থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ইতেকাফ শেখ নামে ওই ব্যক্তির।
