Maldah Murder: মোষ নিয়ে পড়শির ঝামেলায় পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে এল নাড়ি, কাঠগড়ায় তৃণমূল

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 01, 2023 | 1:18 PM

Maldah Murder: বাজিতপুর এলাকায় দেবনারায়ণ যাদব ও দিগন যাদবের বাড়ি  পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির ভেতরে মোষ ঢোকা নিয়ে বিবাদ হয় দুই প্রতিবেশীর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নিতান্ত সামান্য একটা কারণ দিয়ে অশান্তির সূত্রপাত ঘটেছিল

Maldah Murder: মোষ নিয়ে পড়শির ঝামেলায় পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে এল নাড়ি, কাঠগড়ায় তৃণমূল
মালদহে ভয়ঙ্কর নৃশংসতা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ:  মোষ ঢোকা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদ। তা থেকেই নৃশংস কাণ্ড। প্রকাশ্যেই এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের রতুয়ার বাজিতপুর বদনটোলা এলাকায়। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবনারায়ণ যাদব (৫৩)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজিতপুর এলাকায় দেবনারায়ণ যাদব ও দিগন যাদবের বাড়ি  পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির ভেতরে মোষ ঢোকা নিয়ে বিবাদ হয় দুই প্রতিবেশীর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নিতান্ত সামান্য একটা কারণ দিয়ে অশান্তির সূত্রপাত ঘটেছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন বিষয়টি মিটে যাবে। তাই প্রথমটায় আমল না দিলেও পরে তাঁরা মধ্যস্থতাও করেন। কিন্তু অভিযোগ, অশান্তির মাঝেই   দেবনারায়ণ যাদবকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়।

কোপানোর অভিযোগ ওঠে দিগনেরই পরিচিত শ্যামবিহারী যাদব,  সদানন্দ যাদব-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় দেবনারায়ণকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রাতেই মৃতের পরিবারের তরফ থেকে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, নিছকই মোষ নিয়ে বিবাদ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতা তথা রতুয়ার মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শ্যামবিহারি যাদব সহ সাত জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। সকলেই পলাতক। তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপারই নেই। এই খুনের পেছনে বিজেপির মদত রয়েছে। যে সাম্প্রদায়িক শক্তি গোটা বাংলা জুড়ে খুন খারাপির আবহ তৈরি করছে, এখানেও তার ব্যাতিক্রম নয়।”

বিজেপি সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল। পঞ্চায়েতের আগে থেকেই রতুয়াতে নিজেদের মধ্যেই বার বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেও চলেছে, চলছেই। নিজেদের দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা। তবে তাতে আর লাভ হবে না। মানুষ সব বুঝতে পারছে।”

Next Article