মালদহ: ফের মালদায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, নিগৃহীতা আবার মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনায় এলাকারই দুই যুবকের বিরুদ্ধে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্ত পলাতক। মালদার মোথাবাড়ি থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নাবালিকা নিজের বাড়ির কাছেই ঘোরা ফেরা করছিল। সেই সময় তাকে অভিযুক্ত দু’জন তুলে নিয়ে যায়। কাছেই একটি পরিত্যক্ত ভাঙা ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকারে গ্রামের কিছু লোকজন ছুটে আসেন। যদিও ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দুই যুবক। অভিযুক্ত দুই যুবককে নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। তাই তাদের নাম জানতে বেশি বেগ পেতে হয়নি পরিজন ও পুলিশকে। নাবালিকাকে প্রশ্ন করতেই নাম বলে দেয় সে। অভিযুক্ত যুবককে চিনে ফেলেন গ্রামবাসীরা।
মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরেই একজনকে গ্রেফতার করে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। অন্য অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই মালদাতে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ক্ষেতের মধ্যে থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। সেক্ষেত্রেও নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত মাসেই মালদার গাজোলে স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের তরফে তিন জনের কমিটি গঠন করে। তদন্তে আসে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেদিনই অবশ্য নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানেও নজিরবিহীন সংঘাত লক্ষ্য করা যায়। গোটা বিষয়ের রেশ কাটার আগেই ফের গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল মালদায়।