
মালদহ: মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে আদিবাসী যুবতীর মৃত্যুর অভিযোগ। মেডিক্যালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই অভিযোগের একটি কপি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। ঘটনার তদন্তে মালদহ মেডিক্যালে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মালদার হবিবপুর থানা এলাকার শিরশি গ্রামের তেঁতুলপাড়ার বছর ছাব্বিশের চঞ্চলা মূর্মূ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সামান্য ফোঁড়া নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখাতে যান। অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশিস ধর তাঁকে মালদহ শহরের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই বেসরকারি নার্সিংহোমে গেলে সেই চিকিৎসক স্বাস্থ্য সাথী পরোয়া না করে ত্রিশ হাজার টাকা চান, তাঁকে অপারেশন করতে হবে বলে চিকিৎসক জানান।
চঞ্চলা ও তাঁর পরিবার ফিরে যান। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি আবার মালদা মেডিক্যালে যান কিন্তু অভিযোগ, অভিযুক্ত চিকিৎসক-সহ কয়েকজন তাঁকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন। হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ। পরের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি চঞ্চলাকে ভর্তি নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, টানা আট দিন বিনা চিকিৎসায় অবহেলার সঙ্গে ফেলে রাখা হয় তাঁকে। অবশেষে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি সেপটিক হয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় চঞ্চলার।
এই ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ তাঁর পরিবার ইংরেজবাজার থানায় সেই চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কপি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। দেহ ময়না তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার। ঘটনার পর থেকে সেই চিকিৎসক সামনে আসেননি, মুখ খোলেন নি। তবে এমএসভিপি প্রসেনজিৎ বর জানান, তিনিও অভিযোগ পেয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ আলাদা তদন্ত করবে।