
মালদা: গলায় দড়ি পেঁচিয়ে, পিটিয়ে নিজের ছেলেকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে করার চেষ্টার প্রতিবাদ করায় খুন। গোপনে দেহ কবর দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। মৃতের মামা সহ এলাকার কয়েকজন কোনওরকমে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনায় উত্তেজনা মালদার কালিয়াচকের শেরশাহীতে। মৃতের নাম রাজ মোমিন (২০)। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সারফারোজ আলম মোমিন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
সারফারোজ আলম মোমিন পেশায় ব্যবসায়ী। বিদ্যুৎ সামগ্রীর দোকান রয়েছে। স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র নিয়ে পরিবার। অভিযোগ, সারফারোজ নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন নিজের পরিবারের উপর। সেজন্য স্ত্রী, সন্তানরা তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। কিছুদিন আগে রাজকে নিজের কাছে আনেন সারফারোজ। পড়াশোনা ছাড়িয়ে জোর করে দোকানে বসান। অন্য এক মহিলার সঙ্গে সারফারোজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকেই বিয়ে করার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ করেন রাজ। যার জেরে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়।
অভিযোগ, বাবার দ্বিতীয় বিয়ের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় রাজকে পিটিয়ে, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর সেই দেহ গোপনে কবর দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রাজের মামা শামিম আকতার সহ স্থানীয় কয়েকজন দেহ উদ্ধার করে। তখন পালিয়ে যান সারফারোজ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৃতের মা বলেন, “ছেলে তার বাবার কাছে যেতে চাইছিল না। জোর করে নিয়ে যায়। তারপর খুন করে। আমার স্বামীর ফাঁসি চাই।” মৃতের মামা বলেন, “সারফারোজ এবং তার পরিবার আমার ভাগ্নেকে খুন করেছে। তারা আমাদের ফোনে বলে, আমার ভাগ্নে গলায় দড়ি দিয়েছে। কিন্তু, গিয়ে দেখলাম, ফাঁসি লাগার কোনও চিহ্ন নেই।” রাজের এক কাকার ছেলেকেও মাস দেড়েক আগে খুন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।