Malda: ‘ভাত বাড়তে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল’, চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুন মালদহে

Man beaten to death: তাঁর স্বামী কোনও চুরি করেননি বলে দাবি করেন কাইফা খাতুন। একই দাবি করেন মৃত যুবকের দাদা রামজান শেখ। তিনি বলেন, তাঁর ভাইকে ফাঁসিয়ে মারধর করা হয়েছে। সামজান শেখ ভাল ছেলে ছিল বলে মন্তব্য করেন আখতার শেখ নামে এক প্রতিবেশী।

Malda: ভাত বাড়তে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুন মালদহে
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিজনরাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 23, 2025 | 7:56 PM

মালদহ: ভাত খাবেন। স্ত্রীকে ভাত বাড়তে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, বাড়ি ফেরা হল না মালদহের ইংরেজবাজারের সামজান শেখের। চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল তাঁর। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

ইংরেজবাজারের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশমাটি এলাকার বাসিন্দা সামজান শেখ। গতরাতে চোর সন্দেহে ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে সামজানকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা চলাকালীন গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

সামজানের পরিবারে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন তিনি। তাঁকে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী কাইফা খাতুন। তিনি বলেন, “ভাত খাবে বলেছিল। আমাকে বলে ভাত বাড়তে। বলে যায়, আমি এখনই আসছি। কয়েকঘণ্টা পরও ফেরেনি। তারপর বাড়িতে পুলিশ ফোন করে। জানায়, আমার স্বামীকে চোর সন্দেহে মারধর করে। আমি থানায় যাই। সেখানে স্বামীর সঙ্গে দেখা করি। পরে আবার থানায় ডাকে। সেখানে যেতে আমাদের নিয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ। কিন্তু, রাস্তায় কিছু বলেনি। হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি, আমার স্বামী মারা গিয়েছে। যারা মেরেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।”

তাঁর স্বামী কোনও চুরি করেননি বলে দাবি করেন কাইফা খাতুন। একই দাবি করেন মৃত যুবকের দাদা রামজান শেখ। তিনি বলেন, তাঁর ভাইকে ফাঁসিয়ে মারধর করা হয়েছে। সামজান শেখ ভাল ছেলে ছিল বলে মন্তব্য করেন আখতার শেখ নামে এক প্রতিবেশী।

এদিকে এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন পিন্টু মণ্ডল, সুজন ঘোষ এবং দেবাশিস ঘোষ। তাঁদের এদিন মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়।