
মালদহ: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড-ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কখন পোকা, কখনও বা চালে ইঁদুর ইত্যাদি অভিযোগ আকছাড় উঠেই আসে। আর এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সেদ্ধ হয়ে গেল শুঁয়োপোকা। অভিযোগ, সেই খাবারই দেওয়া হল শিশু এবং প্রসূতিদের। শুঁয়োপোকা নজরে আসতেই তুমুল শোরগোল। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, বিক্ষোভের মুখে সুপারভাইজার।
ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কলমপাড়া এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। সেখানেই বেহাল দশা সেন্টারের। এর আগেও অভিযোগ এসেছিল নোংরা খাবার দেওয়া নিয়ে। আর এবার খাবারে সেদ্ধ শুঁয়োপোকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সেন্টার থেকে প্রসূতি এবং শিশুদের খিচুড়ি দেওয়া হয়ে ছিল। সেই খিচুড়িতে শুঁয়ো পোকা সেদ্ধ হয়ে যায়। খাবার সময় নজরে আসে। ওই খিচুড়ি শিশু এবং প্রসূতিরা খেলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী দীপ্তি ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরেই খাবারে বেনিয়ম করেন। এর আগেও পোকা আরশোলা পাওয়া গেছে। এবার একদম খিচুড়িতে সেদ্ধ শুঁয়ো পোকা। যদিও এদিন ওই কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। এরপর এ দিন সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল সেন্টারে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। শুঁয়োপোকার কথা তিনি মেনে নেন। তিনি জানান, এই নিয়ে রিপোর্ট দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি ওই কর্মীকে এই সেন্টার থেকে বদলি করতে হবে।
প্রসঙ্গত বারবার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে বেনিয়ম এবং বেহাল দশার ছবি সামনে আসছে। বিজেপির অভিযোগ খাবার চুরি হচ্ছে। তৃণমূলের মদত রয়েছে। শিশু এবং প্রসূতিদের এমন খাবার দিচ্ছে। যেখানে পুষ্টির বদলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বে। যদিও তৃণমূলের দাবি এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করবে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “যদি এমন ঘটনা সত্যিই ঘটে তাহলে প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করবে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।”