Migrant Worker: ‘শুধু অন্তর্বাস পরেছিলাম…জামাকাপড় পরতে দেয়নি, বাংলা কথা বললেই বলছে বাংলাদেশি’

Migrant Worker: এমনকী থানায় আটকে বাথরুম সাফাই সহ একাধিক কাজ করানোরও অভিযোগ। হরিয়ানার গুরুগ্রামে আটক মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাঙাইপুরের সাত জন পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়া পান।

Migrant Worker: শুধু অন্তর্বাস পরেছিলাম...জামাকাপড় পরতে দেয়নি, বাংলা কথা বললেই বলছে বাংলাদেশি
বিস্ফোরক অভিযোগImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 28, 2025 | 2:29 PM

মালদহ: শুধু অন্তর্বাস পরিয়ে প্রায় নগ্ন করে রাখা হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের। হরিয়ানায় আটক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর পরিবারদের বিস্ফোরক অভিযোগ। এমনকী থানায় আটকে বাথরুম সাফাই সহ একাধিক কাজ করানোরও অভিযোগ। হরিয়ানার গুরুগ্রামে আটক মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাঙাইপুরের সাত জন পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়া পান।

মালদা জেলা পুলিশের দাবি, বাংলাদেশি সন্দেহে হরিয়ানা পুলিশ তাঁদের আটক করেন। মূলত হরিয়ানায় গুরুগ্রামে তাঁরা সাফাই কর্মীর কাজ করতেন। ই-মেইল এবং টেলিফোনের মাধ্যমে গুরুগ্রাম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালদহ জেলা পুলিশ। গুরুগ্রামের পুলিশ ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিচয় জানতে মালদা জেলা পুলিশকে চিঠি দেয়। সেই অনুযায়ী ভেরিফিকেশন করে মালদা পুলিশ গুরুগ্রামকে জানায়। নির্দিষ্ট তথ্য পাঠায়।

মালদা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব তথ্য সহ জানান ফরিদাবাদের পুলিশ কমিশনারকে। এরপরে দুই তরফের আলোচনা সাপেক্ষে ছাড়া পায় ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর পরিবারদের অভিযোগ, পরিচয় পত্র দেখানো সত্ত্বেও তাঁদের আটক করা হয়।

এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, “ঘর পরিষ্কার করালো, থানার বাথরুম পরিষ্কার করায়। এমনকী আমাদের মারধর করেছে। খেতে দিত দুটো করে রুটি, জল পর্যন্ত দেয়নি। আমি বললাম আমি বাঙালি, বাংলাদেশি নই।” আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, “আমি খেতে বসেছিলাম। সাড়ে দশটা নাগাদ এল। তারপর আধার কার্ড চাইল। দিলাম। সেক্টর দশে নিয়ে গেল। শরীরে কোনও জামা ছিল না। সেই অবস্থায় ওইখানে এক রাত কাটাল। পরিচয় পত্র দেখানোর পরও ছাড়ছে না। বাংলা কথা বললেই বাংলাদেশি? ওরা তো মানছে না।”