Malda News: যে টাওয়ারের কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেই টাওয়ারই ১৫ বছর পর ফিরিয়ে দিল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক মোস্তাফাকে

Malda News: ২০১০ সালে পেট চালানোর পরিবার ছেড়েছিল সে। গিয়েছিল ভিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেখানে টাওয়ারের কাজে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে গিয়েছিলেন মোস্তাফা। সব ঠিকই ছিল। কাজ সেরে বাংলা থেকে যাওয়া অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে আবার ঘরেই ফিরছিলেন তিনি।

Malda News: যে টাওয়ারের কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেই টাওয়ারই ১৫ বছর পর ফিরিয়ে দিল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক মোস্তাফাকে
'মধ্য়মণি' মোস্তাফাImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

May 31, 2025 | 11:42 PM

মালদহ: চুল পেকেছে। যখন বাড়ি ছেড়েছিল এতটাও বয়স বাড়েনি। আর সেটাই তো স্বাভাবিক। কারণ, তার বাড়ি ছাড়া ও তাকে পুনরায় খুঁজে পাওয়া, এর মাঝে কেটে গিয়েছে ১৫টা বছর।

ঘটনা মালদহের মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর মীরাগ্রামের। সেখানেই ছোট্ট সংসার মীর মোস্তাফার। ২০১০ সালে পেট চালানোর পরিবার ছেড়েছিল সে। গিয়েছিল ভিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেখানে টাওয়ারের কাজে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে গিয়েছিলেন মোস্তাফা। সব ঠিকই ছিল। কাজ সেরে বাংলা থেকে যাওয়া অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে আবার ঘরেই ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু তার মাঝেই বিপত্তি।

উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পথে একটি রেল স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বোতলে জল ভরতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময় ছেড়ে দেয় ট্রেনটা। ধরে ফেলে গতি। ফলত, পিছনেই ছিটকে যান মোস্তাফা। থেকে যান অজানা শহরে। স্বামী ঘরে ফিরতে না পারায়, মানিকচক থানা গিয়ে নিখোঁজ মামলা দায়ের করেছিলেন মোস্তাফা স্ত্রী সীমা বিবি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশও অনেক খোঁজার চেষ্টা করেছিল তাকে। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি মোস্তাফার।

এই ভাবেই কাটতে থাকে একটার পর একটা বছর। কেটে যায় একটা যুগ। কেটে দেড় দশক। চমৎকারই যেন আবার ফিরিয়ে দিতে পারত মোস্তাফাকে। আর তেমনটাই হল। যে টাওয়ারের কাজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন মোস্তাফা। সেই টাওয়ারই তাকে ফেরাল ঘরে। কিছু মাস আগেই এই মীরাগ্রাম থেকেই ফের একবার টাওয়ারের কাজে উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। গাজিপুরে ছিল তাদের কাজ। সেখানে পৌঁছেই হতবাক তারা।

ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা দেখেন, তাদের কাজের জায়গা থেকে খানিক দূরে একটা মাঠে জল দিচ্ছে মোস্তাফা। তারা চিনতে পারে তাকে। মোস্তাফাও চিনতে পারে প্রতিবেশীদের। এরপর সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। যোগাযোগ করা হয় মোস্তাফার বাড়িতেও। অবশেষে আবার বাংলায় ফিরে আসে সে।