মালদা: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্পের (Kanyashree Project) টাকা ঢুকল মাছ ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে। টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার ব্যবসায়ীর। ব্লক এবং পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ কন্যাশ্রীর সুবিধাপ্রাপ্ত ছাত্রী। হতবাক বিডিও। শোরগোল এলাকা-জুড়ে। দালাল চক্র রয়েছে, অভিযোগ বিজেপির। কোনও ভুল হলে প্রশাসন তদন্ত করবে, সাফাই তৃণমূলের। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরদমনগরের বাসিন্দা রিকিতা চৌধুরী। এই বছর উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) পরীক্ষা দিয়েছে রিকিতা। দৌলতপুর হাইস্কুলে ছাত্রী। বাবা অনাদি চৌধুরী চাষাবাদ করেই কোনওমতে সংসারের ঘানি টানেন।
এই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মেয়ে রিকিতা কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন কিছুদিন আগেই। সূত্রের খবর, বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের খিদিরপুর শাখাতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। কিন্তু, সম্প্রতি কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে না ঢুকে তালসুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। ঘটনা জানতে পারার পর দেবেন মহালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিকিতার পরিবার। প্রথমে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দিতে চাইলেও পরবর্তীতে টাকা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তারপরে ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশের দারস্থ হয়েছে রিকিতা। এই মর্মে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
কিন্তু, এক জনের কন্যাশ্রীর টাকা কীভাবে অন্যজনের অ্যাকাউন্টে গেল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রিকিতার স্বপ্ন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর নার্সিং ট্রেনিং নেওয়ার। বর্তমানে কবে তাদের প্রাপ্য টাকা তারা পাবে সেই অপেক্ষায় বসে রয়েছে রিকিতা এবং তার পরিবার। এদিকে সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা কোন ভুল নয়, এর পেছনে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি কোনও ভুল হলে প্রশাসন সেটা খতিয়ে দেখবে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় গিরি জানিয়েছেন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে সমস্ত ঘটনা। যে প্রকৃত উপভোক্তা সে ঠিক টাকা পাবে।