
মালদহ: মুর্শিদাবাদে হিংসায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে মালদহে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের কমিটি। সেই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর। বৈষ্ণবনগরে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর বিজয়া রাহাতকর বলেন, মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় গোলমাল হয়। ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কে ঘরছাড়া অনেক পরিবার। মালদহে আশ্রয় নেন অনেক। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন।
এদিন কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সার্কিট হাউসে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আসেন মালদহের বৈষ্ণবনগরে। একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।
পরে বিজয়া রাহাতকর বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেসব মহিলারা জানিয়েছেন। মহিলারা যা বললেন, তা কল্পনার বাইরে। যৌন নিপীড়নও হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কথা বলতে হবে।
মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।”
জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।”
অন্যদিকে, আক্রান্ত মহিলারা জানান, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েচে, সেসব জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের। আগামিকাল মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।