Malda: ‘জোর করে নিয়ে যেতে চাইছে…’, মালদহের ক্যাম্পে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ, ছিঁড়ে ফেলা হল ত্রিপল

Malda: অভিযোগ, ঘরছাড়া মানুষজন যাতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, তার জন্য তাদের থাকার জায়গাটা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা, ছিঁড়ে দেন ত্রিপল। 

Malda: জোর করে নিয়ে যেতে চাইছে..., মালদহের ক্যাম্পে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ, ছিঁড়ে ফেলা হল ত্রিপল
মালদহের ক্যাম্পে ঘরছাড়ারাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 18, 2025 | 2:40 PM

বৈষ্ণবনগর: মুর্শিদাবাদ একটু একটু ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। খুলছে দোকানপাট। তবে এখনও রয়ে গিয়েছে চাপা ভয়। আবার যদি ওরা আসে! তাই ঘর ছেড়ে যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁরা ফেরার সাহস পাচ্ছেন না এখনও। এরই মধ্যে মালদহের আশ্রয় শিবির থেকে সামনে আসছে বিস্ফোরক অভিযোগ। শুক্রবার সকালে যখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হলেন, তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘরছাড়ারা।

মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ানে অশান্তির ঘটনায় একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে শতাধিক বাড়ি। মাথার ছাদ হারিয়েছেন অনেকেই। অনেকে ভয়ে জেলা ছেড়ে মালদহে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অভিযোগ, এবার তাঁদের জোর করে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার মালদহের বৈষ্ণবনগরে যখন তাঁরা ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘরছাড়ারা বলছেন, শিবিরে সারারাত ঘুমোতে পারেননি কেউ। তাঁদের নাকি বলা হয়েছে, জোর করে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁরা বলছেন, ‘কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে! ভয়ে সারারাত কেউ ঘুমোচ্ছে না।’ কাঁদতে কাঁদতে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘ভিটেমাটি কিছুই নেই। কোথায় নিয়ে যাবে!’

আরও অভিযোগ, ঘরছাড়া মানুষজন যাতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, তার জন্য তাদের থাকার জায়গাটা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা, ছিঁড়ে দেন ত্রিপল।

শুধু তাই নয় বৈষ্ণবনগরের যে বাসিন্দারা ওই ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদেরকেও আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এক মহিলা বলেন, “যাতে তুলে নিয়ে না যায়, তার জন্য সারারাত পাহারা দিচ্ছি আমরা।” আর এক মহিলা বলেন, “আমাদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কথা না বলতে।”

মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, তবে অনুমতি নিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি ক্যাম্পে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।