Malda murder: খুন করে গেঁথে দিয়েছিলেন দেওয়ালে, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

Malda: পুলিশ সূত্রে খবর, নির্মমভাবে একের পর কোপের পর কোপ মেরে খুন করা হয় ওই ঠিকাদারকে। তারপর তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়। এরপর ইঁট বালি সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়।

Malda murder: খুন করে গেঁথে দিয়েছিলেন দেওয়ালে, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক
পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 05, 2025 | 2:40 PM

মালদহ: মালদহে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক। ঠিকাদার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এর আগে অভিযুক্ত টিভি ৯ বাংলায় দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীই খুন করেছে। ব্ল্যাকমেইল করার জন্যে বাধ্য হয়ে খুন করে। তবে সেই খুনে শিক্ষকও যে সামিল ছিলেন এবার তা স্পষ্ট করে দিল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্মমভাবে একের পর কোপের পর কোপ মেরে খুন করা হয় ওই ঠিকাদারকে। তারপর তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়। এরপর ইঁট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। ধৃতের স্ত্রী স্বীকার করেছিলেন, একজন মহিলাকে যত রকমভাবে নির্যাতন করা যায় তার সবটাই ওই ঠিকাদার করেছেন। সেই কারণে বাধ্য হয়ে খুন করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষককে আটক করে দফায় দফায় জেরা চালিয়ে তদন্তকারীরাও বিষয়টি নিশ্চিত হন।

পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, নিহতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের তিনটি চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তদন্ত এগোচ্ছে।  প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “খুনের পর তপনের শিহুর গ্রাম থেকেই দেওয়াল প্লাস্টার করার জন্য সিমেন্ট, বালি, পাথর জোগাড় করেছিল দম্পতি। যাদের কাছ থেকে এইসব নির্মাণ সামগ্রী জোগাড় করা হয়েছে, পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, পরকীয়া ও টাকাপয়সার লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলায় সাদ্দাম নাদাবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে দম্পতি। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে নিয়ে গিয়ে খুন করলে কেউ জানতে পারবে না, এমনটাই ভেবেছিল স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনই আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন তপনে। সাদ্দাম নাদাবকে ফোন করে সেখানে ডেকে পাঠানো হয়। সাদ্দাম পৌঁছনোর পর খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পিছনে লক্ষ-লক্ষ টাকার লেনদেনের বিষয়টিও রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।