Malda Firing: টাকা ছিনিয়ে একের পর এক গুলি! মালদায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়লেন ঠিকাদার

Malda Gun Shot: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারের সঙ্গে এক পরিযায়ী শ্রমিকের পাওনা-গন্ডা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল। অভিযোগ, দাদনের জন্য ঠিকাদার মির্জা আকবর ৩০ হাজার টাকা হালিম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিককে দিয়েছিল। কিন্তু সে কাজে যোগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল বিবাদ।

Malda Firing: টাকা ছিনিয়ে একের পর এক গুলি! মালদায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়লেন ঠিকাদার
মালদায় গুলিবিদ্ধ ঠিকাদার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2023 | 10:20 PM

মালদা: ঠিকাদারির কাজে অশান্তি। আর তা থেকেই চলল গুলি (Gun Shot)। খুব কাছে থেকে পর পর তিনটি গুলি করা হয় ঠিকাদারকে। বুধবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচকে। সেখানে গোপালপুরের শান্তি মোড়ে ঠিকাদারকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়েন মির্জা আকবর নামে ওই ঠিকাদার। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতেল নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিকাদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারের সঙ্গে এক পরিযায়ী শ্রমিকের পাওনা-গন্ডা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল। অভিযোগ, দাদনের জন্য ঠিকাদার মির্জা আকবর ৩০ হাজার টাকা হালিম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিককে দিয়েছিল। কিন্তু সে কাজে যোগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল বিবাদ।

জানা যাচ্ছে, বুধবার ওই ঠিকাদার পকেটে ৬০ হাজারেরও বেশি টাকা নিয়ে গোপালপুরের শান্তি মোড় চত্বরে গিয়েছিলেন। ঠিকাদারের ওই এলাকায় যাওয়ার খবর আগে থেকেই ছিল হালিমের কাছে। সেই মতো হালিম আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুরের শান্তি মোড় এলাকায় ঠিকাদার মির্দা আকবরের উপর চড়াও হয়। তাঁর টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই পরপর তিনটি গুলি ছুড়ে পালায় ওই শ্রমিক ও তার দলবল। একটি গুলি ঠিকাদারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেও বাকি দুটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ওই ঠিকাদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কেন গুলি চালানো হল, সেই সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। হাসপাতালে গিয়েও খোঁজখবর নিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।