মালদা: বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী স্বপন আলী। দলের গোষ্ঠী কোন্দল, বিডিও ভূমিকা এবং সিপিএম-বিজেপি-র গোপন আঁতাতের জন্যই পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সাফ জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী স্বপন আলির।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে মন্ত্রীর গড়েই এবার পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয় তৃণমূলের।তা দখল করে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। জেলা পরিষদে প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেনের ভাইয়ের হার, তারপরে ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া এবং সর্বশেষ পঞ্চায়েত সমিতিও হাতছাড়া। এরপর আজ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল কংগ্রেস-সিপিএম জোট। কঠোর পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও।
আজ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল। ২১ আসন বিশিষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১ টি তে আসনে জিতেছিল কংগ্রেস-সিপিএম জোট। আর ১০ টি আসন গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা করেছিল শাসকদল। কিন্তু এগারো – দশ ব্যবধানে ভোটে জিতে সভাপতি তহমিনা খাতুন এবং সহ সভাপতি আবদুল তাহের নির্বাচিত হয় জোটের পক্ষ থেকে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি হাত ছাড়া হওয়া যেন হজম হচ্ছে না শাসকদলের। বোর্ড হাতছাড়া হতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য স্বপন আলি দোষারোপ করেন প্রশাসনকে। জোটের দালাল বললে কটাক্ষ করলেন বিডিওকে। সাথে স্বপন আলির অভিযোগ এই হারের জন্য দায়ী তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বও।
বিজেপি নেতা কিষাণ কেরিয়া বলেন, “এতদিন তৃণমূল বলছিল খেলা হবে। আর এখন মানুষ দেখিয়ে দিল খেলা। এই হারের জন্য দায়ী ওরা। বিডিও কী করবে? জন-সাধারণ জোটকে ভোট দিয়েছে। আজ জনসাধারণের দায় মানতে চাইছে না তৃণমূল।” মোস্তাক আলম কংগ্রেস নেতা বলেন, “গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এখানে কংগ্রেস ও বামেদের জোট জিতেছে।”