RG Kar Mysterious Death: আরজি করের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডে পাকড়াও অভিযুক্ত, ‘পরিকল্পনা করে খুন’, অভিযোগ পরিবারের

RG Kar Final Year Student Mysterious Death: গত সোমবারেই উজ্জ্বলের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে আসেন অনিন্দিতা। এরপর সেখানেরই একটি হোটেলে ওঠেন তারা। কিন্তু ওই হোটেলে থাকার সময়ই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিন্দিতা। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্য়াল কলেজে।

RG Kar Mysterious Death: আরজি করের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডে পাকড়াও অভিযুক্ত, পরিকল্পনা করে খুন, অভিযোগ পরিবারের
মা আলপনা টুডু Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 13, 2025 | 11:12 PM

মালদহ: ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। আরজি করের মহিলা ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্যের পাহাড়। আর সেই আবহেই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে মালদহ থেকেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারির পড়ুয়া। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের নাম অনিন্দিতা সোরেন। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। পড়াশোনা সূত্রেই থাকতেন কলকাতায়। অন্যদিকে, আটক হওয়া অভিযুক্ত, তার বাড়ি পুরুলিয়ায়। মালদহে মেডিক্যালের ছাত্র। নাম উজ্জ্বল সোরেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় তাঁদের। গত সোমবারেই উজ্জ্বলের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে আসেন অনিন্দিতা। এরপর সেখানেরই একটি হোটেলে ওঠেন তারা। কিন্তু ওই হোটেলে থাকার সময়ই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিন্দিতা। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্য়াল কলেজে। সেখানে দিন কতক চিকিৎসার পর গতকাল কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় অনিন্দিতার। যা ঘিরে এখন দানা বেঁধেছে রহস্য।

তবে অনিন্দিতার এই পরিণতি পরিকল্পিত খুন বলেই অভিযোগ করছেন পরিবার-পরিজন। তাঁর মায়ের কথায়, ‘ওষুধ খাইয়ে মেরে দিয়েছে।’ অন্যদিকে, অনিন্দিতার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ‘আমরা যখন এখানে আসি, তখন কোনও চিকিৎসা হয়নি। অন্য বেডের রোগীরা জানাল, মেয়ে নাকি সারারাত কান্নাকাটি করেছে। ওকে তো সিসিইউ-তে দিতে পারত। কিন্তু দেয়নি। অক্সিজেন দিতেও টালবাহানা করেছে।’

এদিন নিহতের মা আরও জানিয়েছেন, অনিন্দিতার সঙ্গে উজ্জ্বলের প্রেম ছিল। তারা বিয়েও করে নিয়েছিল। আলপনার কথায়, ‘পুরীর মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল। আমার মেয়ে রেজিস্ট্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই  ছেলেটা চায়নি। ও আমায় জানিয়েছিল যে মালদহে এসেছে। ছেলেটা আমার মেয়েকে জোর করে গর্ভপাত করায়।’