Malda School: ‘মাসিরা রান্না ছেড়ে বিড়ি বাঁধছে’, মালদহের স্কুলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পড়ুয়াদের

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 19, 2025 | 4:32 PM

Malda School: অভিযোগ, রোজই এই ছবি দেখা যায় মালদহের হবিবপুরের আইহো হাইস্কুলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতোর মালদহের শিক্ষা মহলে। একইসঙ্গে এই স্কুল থেকেই উঠেছে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ।

Malda School: ‘মাসিরা রান্না ছেড়ে বিড়ি বাঁধছে’, মালদহের স্কুলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পড়ুয়াদের
চাপানউতোর শিক্ষা মহলের অন্দরে
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

মালদহ: স্কুলের মধ্যেই ক্লাস চলাকালীন চলছে বিড়ি বাঁধা। বিড়ির গন্ধে ম ম করছে চারপাশ। তারমাঝেই চলছে ক্লাস। অন্যদিকে চলছে মিড ডে মিলের রান্না। রান্নার সঙ্গে সঙ্গেই তামাক পাতা ঢেলে চলছে বিড়ি বাঁধার কাজ। অভিযোগ, রোজই এই ছবি দেখা যায় মালদহের হবিবপুরের আইহো হাইস্কুলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতোর মালদহের শিক্ষা মহলে। একইসঙ্গে এই স্কুল থেকেই উঠেছে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। মিড ডে মিলও অনিয়মিত, অভিযোগ পড়ুয়াদের। চাপানউতোরের মধ্যে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। 

মিড ডে মিলের রান্নার মাঝেই যে বিড়ি বাঁধার কাজ চলে তা মানছেন স্কুলের পড়ুয়ারাও। একজন তো বলল, “যারা রান্না করে ওদের রান্নার মাঝেই বিড়ি বাঁধতে দেখেছিলাম। শিক্ষকরাও কিছু বলেনি।” আর এক খুদে বললেন, “স্কুলের মাসিরা রান্না ছেড়ে বিড়ি বাঁধছে। স্কুল চলাকালীন সময়েই এটা করে। আজ তো মিড ডে মিলও বন্ধ রয়েছে। ওই নোংরা হাতেই আবার রান্না করছে। সব দেখেও কেউ কিছু বলেনি। আজ তো রান্নাই হয়নি। গেটে তালা দেওয়া।” তার আরও দাবি, মাঝে মধ্যে রান্না খাবার বাড়িও নিয়ে চলে যায় রান্নার মাসিরা।  

চাপানউতোরের মধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক যদিও বলছেন পুরো অভিযোগটা ঠিক নয়। তাঁর কথায় “ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিড়ি বাঁধা নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। ওরা অনেক অভিযোগ নিয়ে আসে তবে বিড়ি সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ মাস্টারমশাইরা পাননি।” একইসঙ্গে মিড ডে মিলের অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই তিনি বলেন, “মিড ডে মিলের কোথায় কী হয় আমি জানি না। আমার স্কুলে হাজিরা দেখে তবেই রান্না হয়। মিড ডে মিলের জন্য একজন আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। তিনি দেখভাল করেন। মিড ডে মিলের জন্য রস্টার তৈরি করা হয়। কী কী রান্না হচ্ছে সব ঠিক থাকে। আমি এখানে জয়েন করার পর কোনওদিন বাড়তি রান্না হয়নি। সেন্ট্রাল টিমও এখানে এসেছেন। সব দেখে গিয়েছেন।”