
মালদহ: বিজেপি বিধায়কের গাড়ির লক ভেঙে গাড়িতে নাশকতার ছক। মালদহের গাজোল থানার শঙ্করপুর এলাকার ঘটনা। থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় বর্মণ। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে গাড়ির সামনের ইঞ্জিন খোলার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এনেছেন তিনি। তদন্ত শুরু করেছে গাজল থানার পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গাজোলে।
গাজোল শহর এলাকায় সুকান্ত পল্লীতে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, আধঘণ্টা ধরে গাড়িটির উপর তাণ্ডব চালায় অভিযুক্তরা। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনেন। যা দেখে কার্যত শঙ্কিত সকলে। তবে যেভাবে একেবারে গাজোল শহর এলাকায় এবং জাতীয় সড়কের ধারে এই ধরনের দুষ্কৃতী হানা ঘটেছে, স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে বিধায়ক থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
এ প্রসঙ্গে চিন্ময় বর্মণ বলেন, “রাতের বেলা আমার গাড়িতে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়। গাড়ির লক ভাঙে। তারপর গাড়ির বিভিন্ন তার খুলে একের অন্যের সঙ্গে জুড়ে নাশকতামূলক কাজ করে। আমার কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল। ড্রাইভার আসেনি, তাই আমি অন্য গাড়ি নিয়ে চলে যাই। সেই কারণে আমি রক্ষা পাই।”
এই ঘটনায় মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আসিস কুন্ডু জানান, “বিজেপি বিধায়ককে আমি বলব আমাদের পুলিশ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে। আপনারা যখন অভিযোগ করেছেন পুলিশের উপরে ভরসা রাখুন। পুলিশের ঠিক অপরাধীকে খুঁজে বার করবে এবং সঠিক তদন্ত হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, কয়েকদিন আগেই মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রি মিত্রের গাড়ির উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিধায়ক অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। এরপর এ দিন বিজেপি বিধায়কও এই একই কথা বললেন। বারেবারে এই একই ঘটনা ঘটায় মালদহে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।