
মালদহ: জ্বলছে বাংলাদেশ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। হাত জোড় করে কান্নায় ভেঙে পড়ে এদেশে থাকার আবেদন করছেন মহিলারা। ভয়ানক আতঙ্ক তাড়া করছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একের পর এক নির্যাতনের শিকার মহিলারা। দল বেঁধে ঘরে ঢুকে নির্যাতন। সম্পূর্ন নিঃস্ব হয়ে, এক কাপড়ে পালিয়ে যেতেন ভারতে। কেউ নাটোর, কেউ রাজশাহী, কেউ চাঁপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই, প্রাণ বাঁচাতে সম্ভ্রম বাঁচাতে ভারতে একের পর বাংলাদেশি পরিবার।
বিশেষ করে নির্যাতনের শিকার মহিলারা। অভিযোগ, তাঁদের ঘরে ঢুকে চলছে অত্যাচার। মহিলারা বাইরে বেরোলেই ঘিরে ধরে অশ্রাব্য গালিগালাজ। অশালীন কটূক্তি। বাদ নেই নাবালিকা ছাত্রীরাও। হিন্দু হলেই অত্যাচার। আর যদি আওয়ামী লিগের সমর্থক হয় পরিবার, সেই পরিবারের ওপর অকথ্য অত্যাচার। প্রকাশ্যে নারী নির্যাতন, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘর বাড়ি দোকান। পালাচ্ছেন হিন্দুরা। কোনওক্রমে মালদহে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বাংলাদেশি মহিলারা। কেউ কেউ হাত জোড় করে বলছেন, তাঁদের এদেশেই থাকতে দিন নইলে গুলি করে মেরে দিন। ওই দেশে পাঠাবেন না।
এক মহিলা বলেন, “ভাত বসিয়েছিলাম উনুনে। সে সময়েই হামলা। কোনও রকমে রাতে লোকে ঘুমিয়ে পড়লে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি। ওখানে থাকলে মান সম্মান থাকত না। বাবাকে হুমকি দিচ্ছিল।”
আরেক মহিলা বললেন, “নাইনে পড়ত। স্কুলে যেতে পারছিল না। স্কুলে গেলেই নানান জনে নানান কথা বলে, নির্যাতনের শিকার। আমরা চাইছি, ভারত সরকার কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিক, নাহলে আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুক। আমরা আর বাংলাদেশে ফেরত যেতে চাই না।”