মালদহ: পরিবারের সন্দেহ ভূতে ধরেছে। আর সে কারণে বাড়ির লোকেরা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে কিশোরকে। ছটফট করছে ছেলেটা। বাড়ির লোকেরও চোখে জল। কিন্তু তারপরেও ছাড়ছে না কেউই। কিছুদিন আগেই হুগলিতে দেখা গিয়েছিল এমনই এক ছবি। যাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। মাঠে নেমেছিল বিজ্ঞান মঞ্চ। কিন্তু সচেতনতা বাড়ছে কি? এবার কার্যত একই ছবি ধরা পড়ল মালদহে। পশুর মতো শিকল বন্দি করে রাখা হয়েছে কিশোরকে। করেছে মা-বাবা। এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে পুরাতন মালদহ পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ি সামুন্ডাই কলোনি এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, ওই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন।
বাবা পেশায় লরি চালক। মা গৃহবধূ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জন্মের পর থেকেই তাঁদের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার উৎপাতে তটস্থ গোটা পাড়া। ভয়ে থাকে মা-বাবাও। এমনকী ছেলের ভয়ে বাড়ির মেয়েকেও ঘরে রাখতে পারেন না তাঁরা। সুযোগ পেলেই গোটা পাড়া দাপিয়ে বেড়ায়। কখনও ছোড়ে ইট, কখনও আবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মার খেয়ে যান পাড়ার লোকজনও। বাদ যান না মা। সে কারণেই তাঁরা বাধ্য হয়ে ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বলে জানাচ্ছেন।
উদ্বিগ্ন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরও। তিনিও চান, ছেলেটির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুক সরকার। চাইছেন মা-বাবাও। ছেলে ভাল না হলে তাঁরা বাঁচবেন কীভাবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। অন্যদিকে ঘটনার কথা শুনে চিন্তিত এলাকার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা। তিনি বলছেন, বিষয়টি তাঁরা জানা ছিল না। তবে চিকিৎসার জন্য তিনি সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।