Malda: ১৯৩৯-১৯৭১-২০২৫! ধুলো ঝেড়ে বের করা হল মুসলিম ইন্সটিটিউটের সেই যন্ত্র

Malda: মালদহ জেলা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। এই জেলার ১৮ কিলোমিটার অংশে এখনও কোনও কাঁটাতার নেই। বারবার উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলির সদস্যরা করিডর হিসেবে বেছে নেয় মালদহকে।

Malda: ১৯৩৯-১৯৭১-২০২৫! ধুলো ঝেড়ে বের করা হল মুসলিম ইন্সটিটিউটের সেই যন্ত্র
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 10, 2025 | 1:36 PM

মালদহ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটা বেজেছিল প্রথমবার। তারপর ১৯৭১। সেবারও বাজানো হয়েছিল এই সাইরেন। এবার কি আবার বাজানোর প্রয়োজন পড়েছে! ধুলো ঝেড়ে বের করা হচ্ছে সাইরেন।

সঙ্কেত এলে মালদহের মুসলিম ইন্সটিটিউট থেকেই বাজোনো হবে সাইরেন। ১৯৩৯ সালে আনা সেই সাইরেনই আবার মেরামত করে রাখা হল। ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে গত কয়েকদিন ধরেই দিনে-রাতে বেজে উঠেছে সাইরেন। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি।

মালদহ শহরের এই মুসলিম ইন্সটিটিউট থেকেই দুবার সাইরেন বাজানো হয়েছিল। এবার কি আবারও বাজানো হবে! মালদহ জেলা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। এই জেলার ১৮ কিলোমিটার অংশে এখনও কোনও কাঁটাতার নেই। বারবার উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলির সদস্যরা করিডর হিসেবে বেছে নেয় মালদহকে। শুধু তাই নয়, নদীপথেও বাংলাদেশ থেকে ঢুকে পড়া যায় এই জেলায়। নদীপথেই সহজেই যাওয়া যায় ঝাড়খণ্ড। আবার বিহার বা ঝাড়খণ্ড হয়ে সড়ক পথেই নেপাল যাওয়া যায় খুব সহজেই। তাই আতঙ্কিত জেলার বাসিন্দারা।

এই জেলায় জাল নোট, অস্ত্র, মাদক পাচারের থেকে অনুপ্রবেশ- সব বিষয়ই নজরে থাকে গোয়েন্দাদের। সেই কারণেই যুদ্ধের আবহে মালদায় তীক্ষ্ণ নজরদারি চলছে। সবরকমভাবে সরকারি আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তৎপর সিভিল ডিফেন্সও।

শুধু মুসলিম ইন্সটিটিউট নয়, সাইরেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে মালদহ জেলার আরও চার জায়গায়। মালদহ জেলা আদালত, দমকল এবং রেল এবং পুলিশ লাইন অথবা মালদা সংশোধনাগার থেকেও প্রয়োজনে বাজানো হতে পারে সাইরেন।