
মালদহ: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা চাইছেন বিবাহিতরাও? এক সন্তানের মা হয়ে গিয়েছেন এমন মহিলারও করছেন আবেদন? হাতেনাতে ধরে ফেললেন প্রশাসনের কর্তারা। শেষ পর্যন্ত তদন্তের নির্দেশ। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছেন এলাকায়। ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের। আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতেই চোখ ছানাবড়া প্রশাসনের কর্ত-ব্যক্তিদের। একযোগে ধরা পড়ে গেল তিন ভুয়ো আবেদনকারী।
ব্লকের পরিদর্শন দল এদিন দৌলতপুর ইসলামপুর ভালুকা অঞ্চল সহ একাধিক অঞ্চলে পরিদর্শন যান। টিমে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদী লামা, ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার বাসুদেব পাল এবং রূপশ্রী প্রকল্পের ডিইও অষ্টমী ঘোষ। দৌলতপুর ইসলামপুর ভালুকা অঞ্চল সহ একাধিক অঞ্চলে পরিদর্শন করেন। তখনই যে সমস্ত রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে সেগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখেন। তখনই সামনে এসে যায় সবটা।
ভালুকা অঞ্চলের জগন্নাথপুর গ্রামে দু’জন এবং হাতি ছাপা গ্রামে এক জন ভুয়া আবেদনকারীকে একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে জানা যায়, তারা ইতিমধ্যেই বিবাহিত। দ্রুত তাঁদের আবেদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্রুত ব্লক প্রশাসনকেও এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলেও ঠিক হয়েছে। চলবে তদন্ত। অন্যদিকে বাতিল হওয়া তিন আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা নাকি কিছুই জানেন না। মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আবেদন করেছিল।
এদিকে রূপশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র দরিদ্র পরিবারের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য। বিয়ের ঠিক আগে এই প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবার বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হয়।